উন্নত ফিচারের জন্য বর্তমানে প্রযুক্তি জগতে বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছে অ্যাপলের আসন্ন আইফোন ১৭ এয়ার। মডেলটি অনেক পাতলা হবে—মাত্র ৫ দশমিক ৫ মিলিমিটার পুরু হবে এবং এতে ৬ দশমিক ৬ ইঞ্চির ডিসপ্লে থাকবে। তবে এত পাতলা ফোন তৈরির জন্য অ্যাপলকে কিছু বিষয়ে আপসও করতে হয়েছে। যেমন: সেকেন্ড স্পিকার বাদ দেওয়া এবং পেছনে একটি ক্যামেরা ব্যবহার করা।
এদিকে আইফোন ১৭ এয়ার সম্পর্কে বাজারে প্রচলিত একটি গুজব হচ্ছে যে, এই ফোনে কোনো চার্জিং পোর্ট থাকবে না। তবে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক মার্ক গুরম্যান জানান, পোর্টবিহীন আইফোন ১৭ এয়ার তৈরির কথা প্রথমে বিবেচনা করলেও এই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে অ্যাপল।
আইফোন ১৭ এয়ারে আইফোন ১৬ প্রোর মতো ক্যামেরা কন্ট্রোল ও প্রোমোশন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এতে নতুন সি১ চিপ ব্যবহার করা হবে, যা অ্যাপলের প্রথম ইন-হাউস ৫জি মডেম হিসেবে পরিচিত। আইফোন ১৬ ই-তে এই চিপ ব্যবহার করা হয়েছে।
অ্যাপল তাদের পূর্ববর্তী মডেলগুলোকে এখনো ‘সুপারফাস্ট ৫জি সেলুলার’ হিসেবে প্রচারণা চালালেও আইফোন ১৭ এয়ার এমএমওয়েভ প্রযুক্তি সমর্থন করবে না। আইফোন ১৭ এয়ারে এমএমওয়েভ প্রযুক্তি সমর্থন না করার কারণে তার ৫জি গতি কমে গেলেও অ্যাপল আইফোনের ব্যাটারি লাইফকে অগ্রাধিকার দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অ্যাপলের প্রকৌশলী দল ফোনটির ডিসপ্লে এবং অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলো পুনরায় ডিজাইন করতে কাজ করছে, যাতে ডিভাইসটি পাতলা হলেও শক্তিশালী হয়।
বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, আইফোন ১৭ এয়ার ৯০০ ডলার মূল্যে পাওয়া যাবে, যা আইফোন ১৬ প্লাসের সমান মূল্য হতে পারে। যদি এটি সত্যি হয়, তবে এটি ফোনটির বাণিজ্যিক জনপ্রিয়তাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারে।
অ্যাপল তাদের আইফোন ১৭ এয়ারকে একটি ‘পোর্ট-ফ্রি’ ডিভাইস হিসেবে বাজারজাত করার বিষয়ে বিবেচনা করেছিল, অর্থাৎ এতে চার্জিং পোর্ট না থাকার পরিকল্পনা ছিল। তবে এই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়। সম্ভবত ইউরোপীয় বিধিনিষেধের কারণে। কারণ ইইউ মোবাইল ডিভাইসের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়মাবলি আরোপ করেছে।
এই নতুন ডিভাইসটি অ্যাপলের জন্য একটি বড় পরিবর্তন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বে এটি গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে পারে।