অনলাইন ডেস্ক
টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসস্তূপের উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি ও ৩ডি স্ক্যানিংয়ের জন্য এক জোড়া রিমোট অপারেটেড সাবমারসিবল (আরওভি) পাঠানো হচ্ছে। অভিযানটি পরিচালনা করছে আরএমএস টাইটানিক কোম্পানি। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
কোম্পানিটি প্রথমবারে মতো টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসস্তুপে অভিযানে পরিচালনা করে ২০১০ সালে। আরএমএস টাইটানিকের সাতজন অভিযাত্রী গত রাতে টাইটানিকের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আরওভি–এর জন্য কোনো অভিযাত্রীর প্রয়োজন নেই। তবে রোবোটটি পরিচালনা করার জন্য সাত জনের দল প্রয়োজন। দলটি টাইটানিকের অভিমুখে আরওভি পাঠানোর জন্য প্রস্তুত।
ওশানগেট টাইটান সাবমার্সিবল গত বছর টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপের পথে বিপর্যস্ত হওয়ার পর টাইটানিকে পৌঁছানোর প্রথম প্রচেষ্টা করছে এই কোম্পানি। সেই অভিযানে পাঁচজন নিহত হয়েছিল। তবে টাইটানিক সম্পর্কে গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহের এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
২০১০ সালের অভিযানে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে এবারের স্ক্যানিং এর তুলনা করা হবে। সমুদ্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করে বলে আরএমএস টাইটানিকে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি নতুন সামুদ্রিক প্রাণী ও জাহাজের ভেতরের প্রবেশের নতুন পথ আবিষ্কারের উপায় খুঁজে পাবে বলে আশা করছে। সমুদ্রের তলদেশের জাহাজ ওপর বাস্তুতন্ত্র ও ধ্বংসস্তূপে অভিযানের প্রভাবগুলোর ওপর লক্ষ্য রাখে কোম্পানিটি।
আরওভিগুলোতে অনেকগুলো উচ্চ রেজল্যুশনের ক্যামেরা ও কাস্টম লাইটিং যুক্ত করা হয়েছে। এটি ৬৫কে ছবি তুলতে পারবে বলে গত এপ্রিলে জানিয়েছিল কোম্পানিটি।
মেরিন ইমেজিং টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ইভান কোভাকস ওশেনোগ্রাফিককে বলেন, ক্যামেরাগুলো ‘ধ্বংসস্তূপে স্থাপন করা সর্বোচ্চ রেজল্যুশন ক্যামেরা সিস্টেম হবে।’
কোম্পানিটি বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক বস্তু সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে লাস ভেগাস, নেভাদা, অরল্যান্ডো ও ফ্লোরিডার বিভিন্ন প্রদর্শনীতে দেখানো হয়। বিশ্বের সব জায়গায় এসব নির্দশন জনসাধারণের স্বার্থে প্রদর্শন করে বলে দাবি করে আরএমএস টাইটানিক।