অনলাইন ডেস্ক
ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যানের সম্পদের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা কোম্পানি ওপেনএআইয়ের আর্থিক সাফল্য এই অর্জনে ভূমিকা রাখেনি।
ব্লুমবার্গের বিলিনেয়ার সূচকে এই প্রথম স্যাম অল্টম্যানের নাম এল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির বিকাশে অবদান ও উদ্যোক্তা হিসেবে দক্ষতা প্রমাণের জন্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ওপেনএআইয়ের সম্পদের মূল্য ৮ হাজার ৬০০ কোটি ডলার হয়েছে। তবে কোম্পানিতে নিজের কোনো শেয়ার নেই বলে অল্টম্যান দাবি করেছেন।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেঞ্চার ক্যাপিটালসহ বিভিন্ন বিনিয়োগে অল্টম্যানের বেশিরভাগ সম্পদ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেডিটে স্যামের বেশ কিছু শেয়ার আছে। ভবিষ্যতে এসব শেয়ারের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই এবং এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও স্যাম অল্টম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ইলন মাস্ক। কারণ ২০১৫ সালে ওপেনএআইতে বিনিয়োগ করেন মাস্ক।
গত বৃহস্পতিবার সান ফ্রান্সিসকোর আদালতে করা মামলায় বলা হয়, দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রকম্যান ও স্যাম অল্টম্যান একটি ওপেন সোর্স ও অলাভজনক কোম্পানি তৈরি করার জন্য ইলন মাস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সে সময় ওপেনএআই নিশ্চিত করেছিল, ‘মানবতার স্বার্থে’ জন্য ওই কোম্পানি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির বিকাশ করবে।
মামলায় ইলন মাস্ক অভিযোগ করেন, মাইক্রোসফটে বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে ওপেনএআই বর্তমানে মুনাফার দিকে ঝুঁকছে।
২০১৮ সালে ওপেনএআই-এর পরিচালনা পর্ষদ থেকে সরে দাঁড়ান ইলন মাস্ক। পরবর্তীতে ২০২২ সালের অক্টোবরে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দিয়ে টুইটার কোম্পানি কিনে নেন এই বিলিনিয়র।
২০২২ সালের নভেম্বরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি উন্মোচন করে ওপেনএআই। উন্মোচনের ছয় মাসের মধ্যেই বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন হয়ে উঠেছে চ্যাটজিপিটি।
এরপর মাইক্রোসফট, অ্যালফাবেটের কোম্পানিও চ্যাটবট তৈরি করে। এআই প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
চ্যাটিজিপিটি উন্মোচনের পর বিভিন্ন কোম্পানি এআইভিত্তিক ফিচার নিয়ে আসছে। এআই টুলগুলো ডকুমেন্ট সারাংশ, কম্পিউটার কোড তৈরির মতো বিভিন্ন কাজ করতে পারে।