সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে কয়েক ডজন মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে শিশুদের জন্য ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়ে জনসাধারণের কাছ থেকে তিনি তথ্য লুকিয়ে রেখেছিলেন বলে এসব মামলা করা হয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন এসব তথ্য জানা যায়। ।
মেটা ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুদের আসক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে এসব মামলায় অভিযোগ আনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ড ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ ইভন গঞ্জালেজ রজার্স এসব মামলা খারিজ করে দেন।
জাকারবার্গকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করে ২৫টি মামলায় বলা হয়, মেটার বিলিয়নিয়ার প্রতিষ্ঠাতা প্ল্যাটফর্মগুলোর সুরক্ষা সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা তৈরি করেছিলেন। বারবার সতর্কতা সত্ত্বেও এসব প্ল্যাটফর্ম শিশুদের জন্য অযোগ্য হিসেবে তৈরি করা হয়।
মামলার বাদীরা যুক্তি দেন, ‘মেটার সব বিষয়ে বিশ্বস্ত কণ্ঠস্বর’ হিসাবে মার্ক জাকারবার্গের বিভিন্ন রাজ্যের আইনের অধীনে বিশেষ কিছু দায়িত্ব রয়েছে। এই দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে, মেটার কনটেন্টের ফলে শিশুদের জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ও সত্য তথ্য জাকারবার্গকে সরবরাহ করতে হবে ।
বাদীরা মেটার সেবা সম্পর্কে জাকারবার্গের বিস্তৃত জ্ঞান ব্যবহার করতে পারেনি। তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি বাদীর প্রতি দায়বদ্ধ তা বাদীরা তুলে ধরতে পারেন নি।
গঞ্জালেজ বলেন, ‘আদালত এমন অভিনব পদ্ধতিকে সমর্থন করবে না।’
মেটা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। কোম্পানিটি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
মেটা ও অন্যান্য কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে রজার্সের পৃথক শিশুদের পক্ষে দায়ের করা মামলার আগে শত শত মামলা মুলতবি রয়েছে। এর মধ্যে অ্যালফাবেটও রয়েছে যা গুগল ও ইউটিউব পরিচালনা করে, বাইটড্যান্স যা টিকটক পরিচালনা করে এবং স্ন্যাপ যা স্ন্যাপচ্যাট পরিচালনা করে।
মামলায় বলা হয়েছে, এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের কারণে শিশুরা উদ্বেগ, বিষণ্নতা ও আত্মহত্যাসহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
এই মামলায় ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয় ও বিবাদীরা ক্ষতিকর এসব প্ল্যাটফর্মের ক্ষতিকর অনুশীলন বন্ধ করতে চায়। বেশ কয়েকটি রাজ্য ও স্কুল জেলাগুলিও মেটার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে যা এখন মুলতবি রয়েছে।