হোম > প্রযুক্তি

চ্যাটজিপিটির সঙ্গে যা নিয়ে কথা বলবেন না

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ১৫
আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪: ৫০
প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিক চ্যাটবটে স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ চেয়ে থাকেন। ছবি: টুয়েন্টি ওয়েস্ট মিডিয়া

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম চ্যাটজিপিটি। এই চ্যাটবটের মতো অনেক চ্যাটবট বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চ্যাটজিপিটির মতো যেকোনো চ্যাটবটকে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের বরাতে নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবেদনশীল তথ্য, বিশেষ করে স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শের জন্য চ্যাটবটের ওপর নির্ভর না করাই ভালো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের জরিপে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিক চ্যাটজিপিটিসহ চ্যাটবটগুলোতে স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ চেয়েছেন। এর আগে গত বছর মার্কিন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ট্রেবার এক জরিপে উঠে আসে, প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থার দ্বারস্থ হওয়ার আগে চ্যাটবটের পরামর্শ নিচ্ছেন প্রায় ২৫ শতাংশ আমেরিকান।

বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন, চ্যাটজিপিটিসহ অন্য চ্যাটবটগুলোর কাছে ব্যক্তিগত বা চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করে পরামর্শ চাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক জানায়, এআই থেকে নির্দেশনা নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তবে ব্যক্তিগত, আর্থিক ও চিকিৎসাসংক্রান্ত তথ্য চ্যাটবটের সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়। এতে গোপনীয়তা বিঘ্নিত হতে পারে এবং তথ্যের অপব্যবহার হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা ৭টি বিষয়ে চ্যাটবটগুলোকে জিজ্ঞেস না করার পরামর্শ দিয়েছেন—

১. ব্যক্তিগত তথ্য

এআই চ্যাটবটের সঙ্গে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর বা ইমেইল ঠিকানার মতো ব্যক্তিগত তথ্য কখনোই শেয়ার করবেন না। এই তথ্য ব্যবহার করে আপনাকে শনাক্ত করা এবং আপনার কার্যকলাপ ট্র্যাক করা সম্ভব।

২. আর্থিক তথ্য

কখনোই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ড নম্বর বা সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বরের মতো আর্থিক তথ্য চ্যাটবটের সঙ্গে শেয়ার করবেন না। এই তথ্য ব্যবহার করে আপনার অর্থ বা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা হতে পারে।

৩. পাসওয়ার্ড

চ্যাটবটের পরামর্শ নিতে কোনো ধরনের পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না। এই পাসওয়ার্ড শেয়ার করে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা এবং আপনার ডেটা চুরি করা সম্ভব। আপনার তথ্য খুঁজে পেতে কেউ যদি চ্যাটবটে সার্চ করে থাকে, তাহলে আপনার তথ্য হিসেবে পাসওয়ার্ড বা ব্যক্তিগত তথ্য ওই ব্যবহারকারীকে সরবরাহ করার আশঙ্কা থেকে যায়।

৪. আপনার গোপন তথ্য

আপনার গোপন তথ্য কখনোই এআই চ্যাটবটের সঙ্গে শেয়ার করবেন না। চ্যাটবটগুলো আপনার তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়।

৫. চিকিৎসা বা স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ

চ্যাটবটগুলো কোনো চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত হয় না। তাই চ্যাটবটের দেওয়া স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে চলাটা ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া, আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য, যেমন ইনস্যুরেন্স নম্বর চ্যাটবটের সঙ্গে শেয়ার করবেন না।

৬. আপত্তিকর বিষয়বস্তু

বেশির ভাগ চ্যাটবট আপত্তিকর বিষয়বস্তু ফিল্টার করে। এ ধরনের কিছু শেয়ার করলে চ্যাটবটটি আপনাকে তার প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ করতে পারে। এ ছাড়া ইন্টারনেটে কোনো কিছুই হারিয়ে যায় না। তাই চ্যাটবটে শেয়ার করা গোপন তথ্য ভবিষ্যতে কোথাও প্রকাশ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. যেসব বিষয় অন্যকে জানাতে চান না

যেসব তথ্য আপনি কাউকে জানাতে চান না, সেসব তথ্য চ্যাটবটেও শেয়ার করবেন না। কারণ চ্যাটবটে যা শেয়ার করা হয়, সেগুলো তারা সংরক্ষণ করে রাখে। তাই চ্যাটবটের সঙ্গে কথোপকথনে এমন কিছু কখনো বলবেন না, যা আপনি অন্য কাউকে জানাতে চান না।

দেশে প্রথম পার্টটাইম জবের প্ল্যাটফর্ম

এ বছরের বৈদ্যুতিক গাড়ি

১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা জরিমানা

ভুয়া ছবি শনাক্ত করবে হোয়াটসঅ্যাপ