২০২৪ সালে মোট ৪ হাজার কোটি ডলার হারিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে নেমেছেন ইলন মাস্ক। ধনী তালিকায় এ বছর এটিই সবচেয়ে বড় পতন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদেন এসব তথ্য জানা যায়।
আজ শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বিলিয়নের ইনডেক্স নামে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকা প্রকাশ করে। সেই সূচকে ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৮৯ বিলিয়ন বা ১৮ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারে নেমেছে।
বিশ্বে ধনীর তালিকার শীর্ষে আছেন ফরাসি বিলাসদ্রব্য নির্মাতা লুই ভিতো কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা বেনাখ আরনো ( Bernard Arnault)। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২০ হাজার ১০০ কোটি ডলার। আর ১৯ হাজার ৮০০ কোটি ডলার সম্পদ নিয়ে তার পেছনেই রয়েছেন আমাজন ও মহাকাশ পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। এই সপ্তাহের শুরুতেই মাস্ককে ছাড়িয়ে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হন বেজোস। পরে তিনিও পেছনে পড়েন।
টেসলার ২১ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইলন মাস্ক। তার সম্পত্তির একটি বড় অংশে এই কোম্পানির অবদান রয়েছে। টেসলার শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় তা মাস্কের মোট সম্পত্তিকে প্রভাবিত করেছে। এই বছর এখন পর্যন্ত টেসলার কোম্পানির দাম ২৯ শতাংশ কমেছে।
এই সপ্তাহের শুরুতে চীনে বিক্রি হতাশাজনকভাবে কমার খবর দেয় এই গাড়ি নির্মাতা। এ বছর চীনে খুব কম সংখ্যক বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করছে টেসলা। নাশকতার কারণে বার্লিনের কাছে কারখানাটির উৎপাদনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসব ঘটনা কোম্পানিটির শেয়ারের দামকে প্রভাবিত করেছে।
গত জানুয়ারিতে টেসলার সঙ্গে মাস্কের ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বেতনের চুক্তি বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। এটিও মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ কমার একটি কারণ।
ইলন মাস্ক মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্সেরও মালিক। বিশ্বের শীর্ষ ধনী তালিকায় মাস্কের পরেই রয়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তার মোট সম্পত্তির মূল্য ১৮ হাজার ২০০ ডলার। জাকারবার্গ এই বছর ৫৩ শতাংশ লাভ করে।
ভারতীয়দের মধ্যে আদানি গ্রুপের গৌতম আদানি এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাভ করেছে (১৮ দশমিক ২ শতাংশ)। ব্লুমবার্গ বিলিনিয়র ইনডেক্স অনুসারে, তিনি ১০ হাজার কোটি ডলারের সম্পত্তির মাধ্যমে শীর্ষ ধনী তালিকায় ১৩তম স্থান দখল করেছেন।