টুইটার অধিগ্রহণের পর থেকেই নেট দুনিয়ায় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। টুইটার নিয়ে মাস্কের একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আলোচনায় ব্যস্ত রাখছে নেটিজেনদের। এরই মধ্যে মাস্কের আরেক প্রতিষ্ঠান টেসলা নিয়ে জন্ম হলো নতুন আলোচনার। মাস্কের টুইটার নিয়ে ‘অতি ব্যস্ততা’ টেসলার ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগকারীদের।
বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেসলার একজন বিনিয়োগকারী ট্রেভর গুডউইন। যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের এই বাণিজ্য বিশ্লেষক জানান, মাস্কের ওপর আস্থাহীনতার ফলে সম্প্রতি তিনি টেসলার ৩০ হাজার ডলার সমমূল্যের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। গুডউইন বলেন, ‘মনে হচ্ছে মাস্ক তাঁর নতুন লক্ষ্য পূরণে আমাদের ত্যাগ করেছেন।’ গুডউইন এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই টেসলা গাড়ি চালান। তবে মাস্কের এমন অদ্ভুত আচরণ দেখেই টেসলার শেয়ারে তাঁদের অংশ কমিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় সময় বুধবার (৭ ডিসেম্বর) টেসলার শেয়ার মূল্য ৫৬ শতাংশ কমে ১৭৪ ডলারে নেমেছে। তবে টেসলার বর্তমান শেয়ারমূল্য কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির অব্যবহিত পরের মূল্য থেকে ৭০০ গুনেরও বেশি। ২০১৭ সালের ৮ ডিসেম্বর টেসলার শেয়ার মূল্য ছিল ২১ ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের একজন মনোবিজ্ঞানী আর্ল ব্যানিং। তিনি ২০১৫ সাল থেকে টেসলা গাড়ির ভক্ত এবং বিনিয়োগকারী। ব্যানিং অবশ্য তাঁর শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা করছেন না। তবে তিনি আশা করছেন, মাস্ক রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে উত্তেজিত হওয়া কমাবেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এক সময় অনলাইনে মাস্ককে নিয়ে কোনো সমালোচনা দেখলেই তাঁর পক্ষে কথা বলেছি। তবে সাম্প্রতিক কার্যকলাপের কারণে আমাদের অনেকেরই সমর্থন হারিয়েছেন মাস্ক।’ অ্যারিজোনার ফিনিক্স-ভিত্তিক আইনজীবী জোনাথন ব্যাচেলরের মতো টেসলার অন্য বিনিয়োগকারীরাও উদ্বিগ্ন। টেসলা এখন কে চালাচ্ছেন—এ নিয়েও প্রশ্ন তাঁদের।
এদিকে মাস্ক জানাচ্ছেন, কাজের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য টুইটারের হেডকোয়ার্টারেই ঘুমিয়ে নিচ্ছেন তিনি। তবে অফিসকে বেডরুমে পরিণত করার অভিযোগে সান ফ্রান্সিসকো বিল্ডিং ইন্সপেক্টরদের তদন্তের মুখে পড়েছেন এ শীর্ষ ধনী।