রক্তের গ্লুকোজ বা শর্করার পরিমাণ বের করার জন্য নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে স্যামসাং। আঙুলে ছিদ্র করে রক্ত বের করা ছাড়াই শর্করার পরিমাণ বের করবে স্যামসাংয়ের এই নতুন ব্লাড সুগার মনিটর। কোম্পানিটির নতুন গ্যালাক্সি ওয়াচ (ঘড়ি) ও গ্যালাক্সির রিংয়ের (আংটি) মডেলে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অ্যাপল ও গুগলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে কোম্পানিটি। কারণ কয়েক বছর ধরেই এ ধরনের মনিটর তৈরি করার চেষ্টা করছে অ্যাপল ও গুগল।
স্যামসাংয়ের এক নির্বাহী বলেন, নন-ইনভেসিভ ব্লাড গ্লুকোজ মনিটর (রক্তে শর্করা পরিমাপের ফিচার) তৈরি করার সঙ্গে সঙ্গে ব্লাডপ্রেশার (রক্তচাপ) নির্ণয়ের ফিচারটি উন্নয়নেও কাজ করছে কোম্পানিটি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি নিরবচ্ছিন্নভাবে রক্তচাপ ও শর্করার পরিমাণ নির্ণয় করতে পারি, তাহলে তা সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন বিষয় হবে। কারণ অনেক কোম্পানিই এর পেছনে ছুটছে। আর আমরা এই প্রযুক্তির জন্য অনেক বিনিয়োগ করেছি।’
ব্লুমবার্গকে স্যামসাংয়ের প্রধান মেডিকেল অফিসার হোন পাক বলেন, কোম্পানিটি পরিধানযোগ্য ডিভাইসগুলোয় গ্লুকোজের মাত্রা নিরীক্ষণ ও রক্তচাপ ট্র্যাক করার ফিচার নিয়ে কাজ করছে।
আজকের যুগের বেশির ভাগ ডিভাইসে ব্লাড গ্লুকোজ বা রক্তে শর্করার মাত্রা পরিমাপের জন্য সাধারণত হাতের আঙুল ছিদ্র করতে হয়। ত্বক ফুটো করা ছাড়াই রক্তের শর্করা মাপার প্রযুক্তি তৈরির জন্য অ্যাপল ও স্যামসাং কাজ করছে। এছাড়া রক্তচাপ বের করার ফিচারের উন্নতি করতেও কাজ করছে স্যামসাং, যা মেডিকেল ডিভাইসের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করবে।
যদি দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিটি এই প্রযুক্তি তৈরিতে সফল হয়, তাহলে গ্যালাক্সি ওয়াচ ও রিংয়ে ফিচারটি থাকতে পারে। এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অ্যাপলের ঘড়ির চেয়ে এগিয়ে থাকবে স্যামসাংয়ের ওয়াচ।
অ্যাপল এই প্রযুক্তিতে সফল হয়েছে বলে গত বছর এমন তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে। সে সময় বিষয়টি নিয়ে প্রযুক্তিজগতে অনেক আলোচনা হয়েছিল।
কিছুদিন আগেই সিরিজ ৯ ও আলট্রা ২ ঘড়িতে ব্যবহৃত রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপের প্রযুক্তি চুরির অভিযোগ উঠেছে অ্যাপলের বিরুদ্ধে। তবে এই পেটেন্ট নিয়ে বিরোধের জের ধরে অ্যাপল ঘড়ির দুটি মডেলের বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।
তথ্যসূত্র: গ্যাজেট ৩৬০