মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
ল্যাপটপ ছাড়া অনেক ধরনের কাজের কথা ভাবতেই পারি না এখন। তবে নতুন ল্যাপটপের দাম সব সময় বেশি বলে অনেকের পক্ষে সেটা কেনা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে ব্যবহৃত অর্থাৎ পুরোনো ল্যাপটপ বেছে নেন অনেকে। বিভিন্ন দেশের অকশন, দেশের বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি প্রকল্পের অকশন ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পুরোনো ল্যাপটপ সংগ্রহ করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সেগুলো বিক্রি করা হয়। আবার অনেকে পরিচিত মানুষদের কাছ থেকেও ব্যবহৃত ল্যাপটপ কিনে থাকেন।
যেখান থেকেই ল্যাপটপ কিনুন না কেন, কেনার আগে সেগুলো যাচাই করে নেওয়া উত্তম।
কোথা থেকে কিনবেন
পরিচিতজনদের কাছ থেকে ল্যাপটপ কিনতে পারলে ভালো। অনলাইন থেকে কিনলে কাগজপত্র দেখে নিতে হবে। কিছু আউটলেট আছে যারা পুরোনো ল্যাপটপ বিক্রি করে। সেসব আউটলেট খুঁজে বের করে সেখান থেকে কিনতে পারেন।
ব্যবহৃত সময় দেখা
ল্যাপটপটি কত দিন ব্যবহার করা হয়েছে, সেটির উৎপাদন কবে ইত্যাদি তথ্য দেখে নিতে হবে। এ জন্য প্রথমে উইন্ডোজ বারে চাপ দিন। তারপর রান অপশনে যান। সিএমডি লিখে এন্টার বাটনে ক্লিক করুন। যে ইন্টারফেস আসবে, সেখানে লিখতে হবে সিস্টেম ইনফো ডট ইএক্সই। এরপর বায়েস ভার্সনের পাশে যে তারিখ আসবে, সেটি ল্যাপটপটির উৎপাদন তারিখ। এ তারিখ দেখে সেটির বয়স নির্ণয় করে নিন।
ব্যাটারি
ব্যাটারি হেলথ চেক করার জন্য ল্যাপটপ থেকে উইন্ডোজ বারে ক্লিক করুন। তারপর সিএমডি লিখুন। এরপর যে ইন্টারফেস আসবে, সেখানে লিখুন পাওয়ার সিএফজি স্ল্যাস ব্যাটারি রিপোর্ট। তারপর এন্টার প্রেস করলে একটি লিংক পাওয়া যাবে। লিংকটি কপি করে কোনো ব্রাউজারে পেস্ট করলে ব্যাটারি রিপোর্ট দেখাবে। এখানে ফুল চার্জ ক্যাপাসিটিকে ১০০ দিয়ে গুণ করে যে ফল আসবে, তা ডিজাইন ক্যাপাসিটি দিয়ে ভাগ করার পর যে ফল পাবেন, সেটাই হলো ব্যাটারি হেলথ পারসেন্ট। সেটি ৮০ শতাংশের নিচে হলে সেই ল্যাপটপ না নেওয়া ভালো।
হার্ড ডিস্ক
ব্রাউজারে গিয়ে এইচডিডি হেলথ চেক লিখে ক্লিক করতে হবে। প্রথম যে ওয়েবসাইট আসবে, সেখানে গিয়ে সফটওয়্যার ডাউনলোড করে নিতে হবে। এই সফটওয়্যার ইনস্টল করার পর হার্ড ডিস্কের ব্যাটারি হেলথ দেখা যাবে। এসএসডি ৭০ শতাংশের নিচে হলে না কেনা ভালো। এইচডিডি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হলে নেওয়া যায়।
জেনারেশন
ধরা যাক, বর্তমানে ল্যাপটপ ১৪ জেনারেশন চলছে। আপনি দু-একটার বেশি জেনারেশন কম কিনতে পারলে ভালো হয়। জেনারেশন গ্যাপ বেশি না রাখা ভালো। তবে আপনি কোন ধরনের কাজ করবেন, তার ওপর এটি নির্ভর করে। লেখালেখির মতো কাজ করলে কম জেনারেশনের ল্যাপটপ হলেও সমস্যা নেই। কিন্তু ছবি বা ভিডিও সম্পাদনা, কোডিং করার মতো ভারী কাজ হলে জেনারেশন গ্যাপ বেশি রাখা চলবে না। তাতে কাজ করতে ঝামেলায় পড়তে পারেন। যে মডেলটি কিনছেন বা কিনতে যাচ্ছেন, সে মডেলটির তথ্য জানতে ইন্টারনেটে খোঁজ করে নিন।