হোম > প্রযুক্তি

চ্যাটজিপিটি কি, তা জানে না যুক্তরাষ্ট্রের এক তৃতীয়াংশ নাগরিক

বিশ্বজুড়ে চ্যাটজিপিটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ প্রাপ্তবয়স্করা এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সম্পর্কে অবগত নন। এমনকি দেশটির এক–তৃতীয়াংশ নাগরিক চ্যাটবটটি সম্পর্কে কিছুই জানে না। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চের জরিপে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। 

গত মাসে দশ হাজার ব্যক্তির ওপর গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জরিপ চালায়। জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মাত্র ২৩ শতাংশ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছে। তবে গত বছরের জুলাই মাস থেকে এই সংখ্যা ১৮ শতাংশ বেশি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বয়সীদের মধ্যে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে তরুণ আমেরিকানদের মধ্যে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

পিউ বলছে, ৩০ বছরের কম বয়সীরা চ্যাটজিপিটি বেশি ব্যবহার করে। এই বয়সীদের ৪৩ শতাংশ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছে যা গত বছরের গ্রীষ্মকাল থেকে ১০ শতাংশ বেশি। আবার ৩০ থেকে ৪৯ বছর ও ৫০ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে চ্যাটবটটির ব্যবহার কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তরুণদের তুলনায় এই বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের সংখ্যা অনেক কম। যুক্তরাষ্ট্রের ৬৫ বছর বয়সীদের মধ্য মাত্র ৬ শতাংশ এই চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে। 

এই তথ্য আশ্চর্যজনক বলে মনে হতে পারে কারণ চ্যাটজিপিটিসহ অন্যান্য এআই প্রোগ্রামগুলো কয়েক বছর থেকেই প্রযুক্তি সংবাদের শিরোনামে প্রাধান্য পেয়েছে। 

এআই প্রযুক্তি অনেক সমালোচনা ও তদন্তের মুখোমুখির হওয়ার সময়ে জরিপটি প্রকাশ পেল। এআই প্রযুক্তি মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। চ্যাটজিপিটি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়া কোম্পানি, লেখক ও শিল্পীরা মেধাস্বত্ব চুরির অভিযোগ তুলেছে। 

চ্যাটজিপিটি কেন ব্যবহার করছেন না এমন কোনো প্রশ্ন জরিপে অংশগ্রহণকারীদের করেনি পিউ। তবে জরিপে চ্যাটজিপিটি সম্পর্কে প্রাপ্তবয়স্করা কতটুকু জানেন তা জানতে চেয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। আশ্চর্যজনক ভাবে ৩৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেন, তারা চ্যাটজিপিটি সম্পর্কে কোনো কিছুই জানেন না। 

এ ছাড়া ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন সম্পর্কিত তথ্য জানতে অংশগ্রহণকারীরা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করবে নাকি এমন প্রশ্নও জরিপে করা হয়। জরিপে দেখা যায়, নির্বাচনী প্রচারণা সম্পর্কে তথ্য জানতে মাত্র ২ শতাংশ ব্যবহারকারী চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে। 

জরিপের অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই চ্যাটজিপিটির তথ্যের ওপর আস্থা নেই। বিশেষ করে নির্বাচনভিত্তিক তথ্যের ক্ষেত্রে। পিউ বলছে, ‘প্রায় দশজনের মধ্যে প্রায় চারজন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটের চ্যাটজিপিটির নির্বাচনী তথ্যের ওপর খুব বেশি বা একেবারেই আস্থা নেই।’ 

পিউ স্ব-শাসিত অনলাইন জরিপের মাধ্যমে ১০ হাজার ১৩৩ জন প্রাপ্তবয়স্কদের বিভিন্ন প্রশ্নের ওপর ভোট নিয়ে এই পরিচালনা করেছে। 

এই জরিপের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারণ এই জরিপে কিশোর কিশোরীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কিন্তু হোমওয়ার্ক করার জন্য অন্য বয়সীদের তুলনায় কিশোর কিশোরীরাই বেশি চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেন। 

জরিপ থেকে জানা যায়, তরুণ বয়সীরা অফিসের কাজের জন্যও চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে থাকেন। অংশগ্রহণকারীদের ২০ শতাংশ স্বীকার করেন তারা অফিসের কাজে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেন। ২০২৩ সালের মার্চে মাত্র ৮ শতাংশ তরুণ অফিসের কাজে চ্যাটবটটি ব্যবহার করতেন।

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সাশ্রয়ী ফোন আনল রিয়েলমি

এআইকে ব্যক্তিগত অর্থ উপদেষ্টা বানালেন ২৭ বছরের এই সিইও

চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ধারণাকে প্রাধান্য দেয়

মিরর ব্যাকটেরিয়া কি আধুনিক পৃথিবীর নতুন মারণাস্ত্র

অনলাইনে কেনাকাটার নিরাপদ উপায়

গুগলের নতুন ফিচার: সাধারণ হেডফোনই হবে রিয়েল–টাইম অনুবাদক

ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের