জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে
তাবেন্দা হোসেন। ২০১৭ সাল থেকে ফাইভার মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ইউরোপের একটি প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে যুক্ত আছেন। এ ছাড়া তিনি স্কেল আপ নামে একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কর্ণধার।
তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনশীল জগতের হাওয়া লেগেছে ফ্রিল্যান্সিংয়েও। একসময় গ্রাফিক ডিজাইনাররা ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ বা ফটো এনহেন্সমেন্টের মতো কাজ করে অর্থ আয় করতেন; পাশাপাশি কনটেন্ট রাইটিংও ছিল আয়ের ভালো উৎস। কিন্তু এই দুটি ক্ষেত্রে এখন তাঁদের আয়ের সুযোগ তেমন নেই বললেই চলে। বর্তমানে এমন অনেক অ্যাপ ও ওয়েবসাইট বাজারে এসেছে, যেগুলো দিয়ে অনায়াসে এসব কাজ করা যায় অল্প সময়ে। ফলে ফ্রিল্যান্সারদের কাজের ক্ষেত্র কমছে দিন দিন। আবার কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা আসায় অনেকে হতাশ হয়ে পড়ছেন কাজ হারানোর ভয়ে।
তাবেন্দা এসব মানুষের শোনাচ্ছেন আশার কথা। তিনি নিজেকে আরও বেশি দক্ষ করার প্রতি জোর দিয়ে বলছেন, ‘তাহলে আর কাজের অভাব হবে না।’ তবে দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সেটা বিক্রি করার মতো দক্ষতাও অর্জন করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
তাবেন্দার পরামর্শ
দিনা মৃ ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেন। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নাইজেরিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত দিনা। ফ্রিল্যান্সিং করে তাঁর মাসে আয় ৩ হাজার ডলার। তিনি নকরেক আইটি ইনস্টিটিউটে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং আগেও যেমন জনপ্রিয় ছিল, এআইয়ের যুগেও জনপ্রিয়। এর কাজগুলোকে আরও সহজ করতে অসংখ্য এআই টুলস তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন দিনা। তিনি জানান, এখন কনটেন্ট লেখার কাজ সহজ করে দিয়েছে চ্যাটজিপিটির মতো এআই। কনটেন্টকে আরও সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে গিয়ে ভাষা অনুবাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্যারাফ্রেজিং এআই টুল ব্যবহার করা হয়। ইংরেজি ভাষায় দুর্বল ব্যক্তিরা গ্রামারলি এআই টুল ব্যবহার করতে পারেন। ডিজাইন করার জন্য ক্যানোভার মতো বিভিন্ন এআই টুল রয়েছে। এ ছাড়া অনেকে এসইও, ই-মেইল মার্কেটিং কিংবা মার্কেটিং পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের টুল ব্যবহার করে থাকে। এই কাজগুলো করতে একসময় প্রচুর পরিশ্রম ও সময় ব্যয় হতো। এখন সেই কাজের গতি বাড়ানোর জন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই এআই টুলগুলো।
দিনার পরামর্শ
ট্রেন্ড জানা যাবে যেভাবে
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বাংলাদেশের বেশ বড় দুটো গ্রুপ রয়েছে ফেসবুকে এবং মার্কেটপ্লেসের নিজস্ব দেশভিত্তিক ও আন্তর্জাতিক কমিউনিটি আছে। এই গ্রুপগুলোতে সক্রিয় থাকলে ট্রেন্ড বোঝা যাবে সহজে। এসব গ্রুপে যুক্ত থাকার সুবিধা হলো, নতুন কাজের সঙ্গে সহজে পরিচিত হওয়া যায় এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যায়।
দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ওয়ার্কশপ বা সেমিনার আয়োজন ছাড়াও বিনা মূল্যে বিভিন্ন দক্ষতা বৃদ্ধি, এআইয়ের ব্যবহার, ভিডিও এডিটিং, কনটেন্ট রাইটিং, প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি, ডিজাইনের বিভিন্ন বিষয় টিপস অ্যান্ড ট্রিকসসহ বিভিন্ন বিষয় শিখিয়ে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে যে বিষয়ের ওপর কাজ করে দক্ষতা অর্জন করতে চান, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সে রকম গ্রুপে যুক্ত হতে পারেন। নিজের জানা ও শেখার আগ্রহে এটি করতে হবে।