হোম > প্রযুক্তি

ভারতে নির্মিত হচ্ছে আইফোন তৈরির নতুন কারখানা 

প্রযুক্তি ডেস্ক

ভারতের বেঙ্গালুরুতে ৩০০ একর জমির ওপর নতুন কারখানা নির্মাণ করছে আইফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফক্সকন। এরই মধ্যে স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। কারখানাটি প্রস্তুত হলে কর্ণাটকে অন্তত ১ লাখ নতুন চাকরি সৃষ্টি হবে।

সিএনবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের কারখানার শ্রমিকদের অসন্তোষ ও বিক্ষোভের পর আইফোন সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়। এরপর থেকেই ভারতে আইফোনের নতুন কারখানা তৈরির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। ভারতে আইপ্যাড ও ম্যাকবুক তৈরির কথাও অ্যাপল ভাবছে বলে শোনা যায়। গুঞ্জন কিছুটা সত্য প্রমাণ করে গত শুক্রবার (৩ মার্চ) ফক্সকনের চেয়ারম্যান ইয়ং লিউয়ের নেতৃত্বে কোম্পানির ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বেঙ্গালুরু এসে নতুন কারখানার জমি পরিদর্শন করে।

প্রস্তাবিত এই কারখানাটি নির্মাণের জন্য প্রাথমিক বাজেট ধরা হয়েছে ৭০ কোটি ডলার। বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের সবচেয়ে জনপ্রিয় পণ্য আইফোনের এশীয় এজেন্ট ফক্সকনের। আইফোনের অধিকাংশ ফোন প্রস্তুত করে এই তাইওয়ানভিত্তিক এই কোম্পানিটি। এটি ভারতে ফক্সকনের দ্বিতীয় বিনিয়োগ।

উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর ধরে আইফোনে নিজেদের তৈরি চিপ ব্যবহারের জন্য কাজ করছে অ্যাপল। এবার একই পরিকল্পনার আওতায় ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ চিপ তৈরির পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরুতেই নিজেদের তৈরি ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ চিপ দিয়ে তৈরি আইফোন বাজারে আনার আশা করছে অ্যাপল।

এখন আইফোনসহ নিজে তৈরি বিভিন্ন পণ্যে ব্রডকমের তৈরি ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ চিপ ব্যবহার করে অ্যাপল। সেমিকন্ডাক্টর ও অবকাঠামো সফটওয়্যার খাতের এই কোম্পানির সঙ্গে ২০২০ সালে প্রায় দেড় হাজার কোটি ডলারের চুক্তি করে অ্যাপল। আইফোনে নিজস্ব ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ চিপ ব্যবহার করলে বিপুল খরচ কমে আসবে অ্যাপলের। ২০১৯ সালে আইফোনে নিজের তৈরি মডেম ব্যবহারের জন্য ইনটেলের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলারের মডেম তৈরির প্রযুক্তি কিনেছিল অ্যাপল।

প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ডিজিটাল ট্রেন্ডসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাকবুকে এবং আইম্যাকে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি চিপ ব্যবহার করার কথা অ্যাপলের। ডিসেম্বরে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক জানিয়েছিলেন, এনিয়ে চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।

অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ‘তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি’র (টিএসএমসি) কারখানায় তৈরি হবে চিপগুলো। আগেও অ্যাপলের অনেক ডিভাইসের চিপ তৈরি হয়েছে সেখানে। ওই অঙ্গরাজ্যে আরও দুটি কারখানা স্থাপনে টিএসএমসি মোট ৪ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। ফিনিক্স শহরে প্রথম কারখানার কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালে। অন্যটির কাজ শেষ হতে আরও দুই বছর লাগবে।

‘চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্ট’ শীর্ষক আইনের আওতায় এই প্রকল্পের আংশিক ভর্তুকি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। দেশটিতে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন উৎসাহিত করতে এ আইন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘অ্যাপলকে সমস্ত উন্নত চিপ বিদেশ থেকে কিনতে হয়েছিল। তাঁরা এখন এই চিপের উৎপাদন কার্যক্রম নিজের দেশেই নিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি চিপ এই খাতে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসবে।’

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সাশ্রয়ী ফোন আনল রিয়েলমি

এআইকে ব্যক্তিগত অর্থ উপদেষ্টা বানালেন ২৭ বছরের এই সিইও

চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ধারণাকে প্রাধান্য দেয়

মিরর ব্যাকটেরিয়া কি আধুনিক পৃথিবীর নতুন মারণাস্ত্র

অনলাইনে কেনাকাটার নিরাপদ উপায়

গুগলের নতুন ফিচার: সাধারণ হেডফোনই হবে রিয়েল–টাইম অনুবাদক

ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের