মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর মেটার বিভিন্ন নীতিতে পরিবর্তন এনেছেন সিইও মার্ক জাকারবার্গ। তবে সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো নিয়ে কোম্পানিটির কর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা গেছে। বিশেষ করে মেটার ফ্যাক্ট চেকিং ফিচার ও ডাইভারসিটি প্রোগ্রাম বন্ধের সিদ্ধান্তের জন্য। অবশেষে, গত বৃহস্পতিবার একটি মিটিংয়ে এসব পরিবর্তনের পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেন জাকারবার্গ।
জাকারবার্গ জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের সুদৃষ্টি পেতেই মেটার নীতিতে পরিবর্তন নেওয়া হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের ফাঁস হওয়া সাক্ষাৎকারে জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, বিগত কয়েক বছরর পর আমাদের যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে ফলপ্রসূ সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। আমরা এই সুযোগ নেব।’
এ ছাড়া, মেটার বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) উদ্যোগ বন্ধ করার বিষয়ে জাকারবার্গ বলেন, মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির প্রতি সামঞ্জস্য রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মেটের সিইও বলেন, ‘আমরা একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল নীতি ও নিয়মের পরিস্থিতিতে আছি, যেখানে এমন কোনো নীতি যা এক গ্রুপকে অন্য গ্রুপের তুলনায় সুবিধা দেয়, সেটিকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।’
ট্রাম্প প্রশাসনের চাপ থাকলেও বিশ্বের বড় কোম্পানিগুলোর মধ্যে অ্যাপল ও কস্টকো তাদের ডাইভারসিটি কর্মসূচি চালু রেখেছে।
মেটা কোম্পানির আরেকটি মিটিয়ের অডিও পেয়েছে সংবাদ আউটলেট ৪০৪ মিডিয়া। সেই অডিওতে জাকারবার্গকে বলতে শোনা যায়, তিনি যা কিছু বলেন, তা মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ করেন তিনি।
মেটা এ বিষয়ে কর্মীদের একটি নথি পাঠিয়েছে। নথিতে বলা হয়েছে, কেউ যদি মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন, তাঁকে বরখাস্ত করা হবে।
মিটিংয়ের শেষ দিকে জাকারবার্গ টিকটকের ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, টিকটক মেটার একটি বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে এ বিষয়ে মেটার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
এ ছাড়া চীনা এআই অ্যাপ ডিপসিকের কথা উল্লেখ করে জাকারবার্গ বলেন, ‘ডিপসিক তাদের এআই মডেলটি খুব কম দামে উন্মুক্ত করেছে। এটি মার্কিনভিত্তিক এআই মডেলগুলোর তুলনায় অনেক সস্তা।’
জাকারবার্গ আরও জানান, মেটার নিজেদের লামা এআই মডেলটি ওপেনসোর্স। তাই ডিপসিকের সাশ্রয়ী দামের মডেল তাঁদের ব্যবসায় তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
তথ্যসূত্র: ম্যাশাবল