ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটাকে ফ্যাক্টচেকিং প্রোগ্রামের পরিবর্তন আনার কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে ব্রাজিল সরকার। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল জর্জ মেসিয়াস শুক্রবার এ তথ্য জানান। অর্থাৎ, মেটার জন্য এই সময়সীমা শেষ হবে আগামীকাল সোমবার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্যাক্টচেকিং প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি প্ল্যাটফর্মগুলোতে অভিবাসন ও লিঙ্গ পরিচয় সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শিথিল করেছে মেটা। এসব কারণে ব্রাজিলে কী কী পরিবর্তন আসবে তা জানতে এই সময় সীমা বেঁধে দিয়েছে দেশটির সরকার। তবে নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ব্রাজিল কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা স্পষ্ট নয়।
ব্রাজিল সরকারের প্রধান আইনজীবী মেসিয়াস সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেটা কোম্পানির নীতির বিষয়ে ব্রাজিল সরকারের গভীর উদ্বেগ রয়েছে, যা বিমানবন্দরের উইন্ডসক কিপারের মতো, প্রতিনিয়ত বাতাসের দিক অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের নীতির শিকার হবে না ব্রাজিলীয় সমাজ।’
গত বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা বলেছিলেন, মেটার এই পরিবর্তনগুলি ‘অত্যন্ত গুরুতর’ এবং তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চান।
ব্রাজিলের এসব সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মেটা।
গত মঙ্গলবার মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ তার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এই প্রোগ্রামে খুব বেশি ভুল থাকায় এবং অত্যধিক সেন্সরশিপের কারণে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, আপাতত এই পরিবর্তনগুলো শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পরিকল্পিত।’
গত বছরের ৩০ আগস্ট ইলন মাস্কের এক্স প্ল্যাটফর্মকে ব্রাজিলে স্থগিত করার আদেশ দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেক্সান্দ্রে ডি মোরাইস। প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, প্ল্যাটফর্মটি স্থানীয় আইন অনুযায়ী একটি আইনি প্রতিনিধি নিয়োগে ব্যর্থ হয়। এর ফলে এক্সের কার্যক্রম ব্রাজিলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ‘আইএসপি’সহ ব্রাজিলের ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলো এক্সকে তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য ব্লক করে দেয়। এর ফলে কোটি কোটি ব্রাজিলীয় নাগরিক এক্স প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারছিল না।
২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে এক্স ৫০ লাখ জরিমানা দেওয়ার পর প্ল্যাটফর্মটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ব্রাজিল।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স