বিদ্যুৎ আর পানি পরস্পরবিরোধী। এটি জানার পরও বিশেষত বন্যার সময় বিদ্যুৎজনিত দুর্ঘটনা ঘটে। সেসব দুর্ঘটনা থেকে বেশির ভাগ সময় আমরা জীবনহানির সংবাদ পেয়ে থাকি। ফলে জেনে রাখতে হবে বন্যা ও এর পরবর্তী সময় বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য কী করবেন, আর কী করবেন না।
যদি বাসাবাড়ি পানিতে ডুবে যায় এবং পানি বৈদ্যুতিক আউটলেট, বেসবোর্ড হিটার বা অন্যান্য বৈদ্যুতিক সিস্টেমের সংস্পর্শে আসে, তাহলে পানিতে নামা যাবে না। এতে বিদ্যুতায়িত হওয়া প্রবল আশঙ্কা থাকে। ভেজা মেঝেতেও সতর্ক অবস্থায় চলতে হবে।
বন্যার আগে এবং পরে কিছু জিনিস বিবেচনায় রাখতে হবে।
- বন্যার পূর্বাভাস পেলে, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং ডিভাইস বাড়ির এমন কোনো জায়গায় নিয়ে রাখুন, যেখানে বন্যার পানি পৌঁছাবে না।
- বাড়ির প্রধান বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করে দিন। সঙ্গে গ্যাস ও পানির সুইচও বন্ধ করুন।
বন্যার পর
- যদি আপনাকে আশ্রয়কেন্দ্র বা নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে হয়, তাহলে যাওয়ার আগে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ করে যান।
- যথাযথ কর্তৃপক্ষ আপনার এলাকাকে নিরাপদ ঘোষণা না করা পর্যন্ত এলাকায় ফিরবেন না।
- বাড়িতে ফিরে বিদ্যুতের সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করবেন না।
- ভেজা হাতে ফিউজ প্রতিস্থাপন করবেন না।
- ভেজা মেঝেতে খালি পায়ে দাঁড়াবেন না।
- ইলেকট্রিশিয়ান দেখিয়ে পুরো বাড়ির বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিরাপদ কি না জেনে নিন। না জানা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ রাখুন।
- ইলেকট্রিশিয়ানকে ভেজা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিগুলো পরীক্ষা করে দিতে বলুন।
- ইলেকট্রিশিয়ান কোনো যন্ত্রকে নিরাপদ বললে তবেই সেটি ব্যবহার করুন।
- যেসব ভেজা যন্ত্রপাতি বাদ দিতে হয়, সেগুলো বাদ দিন।
- অভিজ্ঞ ইলেকট্রিশিয়ান পুরো বাড়িকে নিরাপদ বললে তবেই পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করুন।
সূত্র: ইলেকট্রিক্যাল সেফটি ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল, ফেমা, ইলেকট্রিক্যাল সেফটি অথরিটি