হোম > প্রযুক্তি

ইউরোপে আইফোন ও আইপ্যাডে এপিক গেমস স্টোর রাখার অনুমোদন দিল অ্যাপল

অনলাইন ডেস্ক

ইউরোপের আইফোন ও আইপ্যাডে এপিক গেমস স্টোর রাখার অনুমোদন দিল অ্যাপল। ডিভাইসগুলোতে গেম স্টোর স্থাপনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে বলে গত শুক্রবার অ্যাপলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে ফোর্টনাইট গেমের নির্মাতা কোম্পানি এপিক গেমস। এই অভিযোগের পরপরই আইওএস ডিভাইসে এপিক গেমস স্টোর চালু করার অনুমোদন দেয় অ্যাপল। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। 

অ্যাপল বলেছে, সর্বশেষ বিরোধটি এপিকের মার্কেটপ্লেস কেন্দ্রিক। জনপ্রিয় গেম অ্যাপ ফোর্টনাইট নিয়ে নয়। অনেক আগেই আইফোনে অ্যাপটি চালানোর জন্য অনুমতি দিয়েছে অ্যাপল। 

আইওএসের অ্যাপ ইকোসিস্টেমের ওপর অ্যাপলের কঠোর নিয়ন্ত্রণের সমালোচনা করে আসছে অ্যাপ ডেভেলপার ও ইউরোপের অ্যান্টিট্রাস্ট আইনের নিয়ন্ত্রকেরা। 

এই অনুমোদন পাওয়ার আগে এপিক কোম্পানি বলেছে, আইওএসের অ্যাপ স্টোরের সঙ্গে এপিক গেমস স্টোরের কিছু বাটন ও লেবেলের নকশায় মিল পাওয়ায় দুবার এপিকের নথিগুলো প্রত্যাখ্যান করে অ্যাপল। 

এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফরমের বিভিন্ন পোস্টে এপিক জানায়, ‘আমরা একই ধরনের ‘‘ইনস্টল’’ ও ‘‘ইন অ্যাপ পারচেজ’’ লেবেল ব্যবহার করছি, যা একাধিক প্ল্যাটফরমে জনপ্রিয় অ্যাপ স্টোরগুলোতে ব্যবহৃত হয়। আইওএস অ্যাপের বাটনের স্ট্যান্ডার্ড নিয়মগুলো অনুসরণ করে এগুলো তৈরি করা হয়েছে।’ 

এপিক গেমস আরও বলছে, ‘এ ধরনের প্রত্যাখ্যান অ্যাপলের স্বেচ্ছাচারী ও প্রতিবন্ধকতামূলক আচরণ প্রকাশ করে এবং ডিএমএ আইনের (ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট) লঙ্ঘন করে। এই উদ্বেগ সম্পর্কে ইউরোপীয় কমিশনকে জানানো হয়েছে।’ 

তবে ইইউ কমিশন এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। বিকল্প অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোডে অ্যাপল বাধা দিচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে গত মাসে তদন্ত শুরু করে ইউরোপীয় কমিশন। 

২০২০ সাল থেকে এপিক ও অ্যাপলের মধ্যে আইনি লড়াই শুরু হয়েছে। সে সময় মামলার অভিযোগে এপিক বলে, অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে অ্যাপ ইনস্টলে বাধ্য করে গ্রাহকদের ও ইন অ্যাপ পারচেজের ক্ষেত্রে ডেভেলপারদের ওপর ৩০ শতাংশ ফি আরোপ করে কোম্পানিটি অ্যান্টিট্রাস্ট আইনের লঙ্ঘন করে। 

ডিএমএ আইনের সঙ্গে মিল রেখে এ বছরের শুরুতে অ্যাপ স্টোর নীতিমালায় পরিবর্তন আনে অ্যাপল। গত মার্চ মাসে ইউরোপে ডিএমএ আইন কার্যকার হয়। 

 নতুন পরিবর্তনের মাধ্যমে আইফোনে থার্ড পার্টি অ্যাপ রাখার অনুমতি দেয় অ্যাপল। সেই সঙ্গে ইন অ্যাপ পারচেজের ওপর থেকে ফি সরিয়ে দেয় কোম্পানিটি। তবে আইফোনে অ্যাপ ও থার্ড অ্যাপ স্টোর রাখার জন্য নতুন ‘কোর টেকনোলজি ফি’ নির্ধারণ করেছে অ্যাপল। তবে এই ফি-কে শোষণমূলক বলে মনে করেন অনেক ডেভেলপার।

২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ লাখ আইটি পেশাদার তৈরি করবে সরকার

চলতি বছরে শক্তিশালী ব্যাটারি প্রযুক্তি নিয়ে আসবে যেসব অ্যান্ড্রয়েড ফোন

ফুঁ দিয়ে গরম কফি ঠান্ডা করে দেবে এই বিড়াল রোবট

এক্সের অ্যালগরিদম সম্পর্কিত তথ্য চেয়েছে ইউরোপীয় কমিশন

যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম বন্ধ হবে, তবু বিক্রিতে রাজি নয় টিকটক

সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য হাতিয়ে নিতে রুশ হ্যাকারদের নয়া কৌশল

ফেসবুক প্রোফাইলে মিউজিক যুক্ত করবেন যেভাবে

স্যামসাংয়ের মিড রেঞ্জ ট্যাবের চিপসেট সম্পর্কে যা জানা গেল

সার্চ ইঞ্জিনের বাজারে আধিপত্য কমল গুগলের, মাইক্রোসফটের শেয়ার বাড়তি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফ্যাক্টচেকিং আইন মানবে না গুগল

সেকশন