খরচ কমানোর অংশ হিসেবে নিজেদের গ্লোবাল অনলাইন বুক স্টোর ‘বুক ডিপোজিটরি’ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন। আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে এটি বন্ধ হবে। তবে ওই দিন দুপুর পর্যন্ত গ্রাহকেরা অর্ডার দিতে পারবেন।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুক ডিপোজিটরির ওয়েবসাইটে একটি বার্তায় জানানো হয়েছে, প্ল্যাটফর্মটি আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত গ্রাহকদের অর্ডারগুলোর বিষয়ে সহায়তা প্রদানে সক্রিয় থাকবে। ২০০৪ সালে আমাজনের এই অনলাইন বুক স্টোর ‘বুক ডিপোজিটরি’ চালু হয়। আমাজনের প্রাক্তন কর্মচারী স্টুয়ার্ট ফেলটন ও অ্যান্ড্রু ক্রাউফোর্ড প্ল্যাটফর্মটি চালু করেছিলেন। ২০১১ সালের ২৬ এপ্রিল প্ল্যাটফর্মটিকে কিনে নেয় আমাজন। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, এটি ১২০টিরও বেশি দেশে ২ কোটিরও বেশি বই বিক্রি করেছে। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ডেলিভারি পরিষেবা প্রদান করত প্ল্যাটফর্মটি।
প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় ব্যবস্থাপনার বিভাগীয় প্রধান অ্যান্ডি চার্ট বলেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমরা ধীরে ধীরে প্ল্যাটফর্মটি বন্ধের দিকে এগোব। এর মধ্যে আমাদের ওয়েবসাইট বন্ধের মতো পদক্ষেপও রয়েছে।’ চার্ট তার সমস্ত বইপ্রেমী গ্রাহককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, গ্রাহকেরাই এই প্ল্যাটফর্মকে সারা বিশ্বের পাঠকদের কাছে মুদ্রিত বই আরও সহজলভ্য করে তুলতে সক্ষম করেছেন।
এর আগে গত মাসে আবারও ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটে আমাজন। ছাঁটাই করা হয়েছে ৯ হাজার কর্মী। মূলত খরচ কমানোর লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত জানুয়ারিতে ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে প্রতিষ্ঠানটি।
আমাজনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জ্যাসি বলেছিলেন, ‘কঠিন হলেও দীর্ঘ মেয়াদে এই সিদ্ধান্ত কোম্পানির জন্য সুফল বয়ে আনবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাজনের ব্যবসার বেশির ভাগ জায়গাতেই বিভিন্ন নতুন পদ যুক্ত হয়েছে।’
করোনা মহামারির সময় অনলাইন শপিংয়ের প্রতি মানুষ পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় আমাজনের রেকর্ড পরিমাণ আয় হয়। করোনার বিধিনিষেধের পর থেকে মানুষ আবার অফলাইন শপিংয়ে অভ্যস্ত হওয়ায় প্রবৃদ্ধি কমে যায় আমাজনের। পণ্যের বিক্রি কমে যাওয়া, ঊর্ধ্বমুখী মূল্য এবং সুদের হার বৃদ্ধির ফলে আমাজনের শেয়ারে দরপতন ঘটে প্রায় ৫০ শতাংশ।