ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের প্রাপ্য বা ক্ষতিপূরণ দেবে না বলে জানিয়েছে গুগল। পাশাপাশি আগে থেকে অনুমোদন নেওয়া ছুটির টাকাও না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে অসুস্থতাজনিত ও মাতৃত্বকালীন ছুটিও। অসুস্থতাজনিত ও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকাকালীন যে সকল কর্মী ছাঁটাই হয়েছেন তাঁদের অভিযোগ— গুগল কর্তৃপক্ষ তাঁদের ওই নির্দিষ্ট সময়ের টাকা দিতে রাজি হয়নি। এরই মধ্যে, ছাঁটাই হওয়া ১০০ এর বেশি কর্মী এই বিষয়ে গুগলকে চিঠি পাঠিয়েছে।
সিএনবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেন। বেশ কিছু কর্মী তাঁদের ছুটিতে থাকাকালীন ছাঁটাই হন। কেউ হয়তো ছুটিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন, কেউ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় ছুটিতে ছিলেন আবার অনেকে ছিলেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। আর ছুটিতে থাকা এসব কর্মীদের প্রাপ্য বেতন দিতে রাজি হচ্ছে না গুগল।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিঠিতে নিয়োগ বন্ধের প্রসঙ্গ তুলেছেন কর্মীরা। এ ছাড়া, ইউক্রেনের মতো মানবিক সংকটে থাকা দেশগুলোতে কর্মচারীদের ছাঁটাই না করারও আবেদন জানিয়েছে কর্মীরা। খোলা চিঠিতে কর্মীরা গুগলের সিইওকে বলেন, কোনো কর্মীকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিলে তাদের যেন সম্পূর্ণ নোটিশ পিরিয়ড কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এমনিতেই ইউক্রেনের মতো দেশগুলোতে পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সেখানে চাকরিচ্যুত কর্মীকে যেন ভিসা বা অতিরিক্ত সাহায্য দেওয়া হয়।
এদিকে, আবারও কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন। সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমাজন জানায়, মূলত ক্লাউড কম্পিউটিং ও বিজ্ঞাপনী বিভাগের মতো জায়গাগুলোতে কর্মী ছাঁটাই করা হবে। তবে এর প্রভাব ঠিক কোন দেশগুলোয় পড়বে, তা এখনো জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী দেড় লাখের বেশি কর্মী রয়েছে আমাজনে।
আমাজনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জ্যাসি বলেন, ‘কঠিন হলেও দীর্ঘ মেয়াদে এই সিদ্ধান্ত দীর্ঘ মেয়াদে কোম্পানির জন্য সুফল বয়ে আনবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাজনের ব্যবসার বেশির ভাগ জায়গাতেই বিভিন্ন নতুন পদ যুক্ত হয়েছে।’