প্রযুক্তি প্রতিবেদক
বায়োটেক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবার এগিয়ে যাবে । রক্তের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান প্লাজমার প্লান্ট তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। নতুন এই প্লান্টে বিশ্লেষণ হবে প্লাজমার। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে এই প্লান্ট বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
এই প্লান্ট তৈরি হচ্ছে সম্পূর্ণ বিদেশি বিনিয়োগে। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্প মানবদেহের ‘প্লাজমা বিশ্লেষণ প্ল্যান্ট’ নির্মাণ শুরু হয় এই মাসের শুরুতেই। হাইটেক সিটির ব্লক-২ এ প্ল্যান্ট নির্মাণ কাজ শুরু করেছে চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেড।
কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রায় ২৫ একর জমিতে এই প্ল্যান্টের নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে। এর পরের বছরই বাংলাদেশেই উৎপাদিত হবে প্রাণঘাতী এইডস ও ক্যান্সারসহ নানা রোগের প্রতিষেধক। ওরিক্স এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি তথা বাংলাদেশে বায়োটেক প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার নতুন দরজার উন্মোচন হবে।
নির্মাণকাজ শেষ হলে ২০টি স্টেশনের মাধ্যমে মানবদেহের প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। বছরে এই প্ল্যান্টে বিশ্লেষণ করা হবে ১২শ টন প্লাজমা। তৈরি হবে সার্স,ক্যান্সার, এইডস, ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ বিভিন্ন রোগের বায়োটেক ওষুধ।
প্রতিবছর প্লাজমা বা থেরাপিওটেক্স আমদানি করতে এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয় বাংলাদেশকে। হাইটেক পার্কে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সাশ্রয় হবে আমদানি ব্যয়। এই প্লান্টের মাধ্যমে বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে আগ্রহী তরুণেরা পাবে নতুন গবেষণা ক্ষেত্র।