সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) শিগগির নিউইয়র্কে অর্থ লেনদেনের লাইসেন্স পাবে বলে জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। এর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটিতে পেমেন্ট ফিচার যুক্ত করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল এক্স। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
মরগান স্ট্যানলি টেকনলোজি, মিডিয়া ও টেলিকম সম্মেলনে মাস্ক বলেন, এক্স আগামী মাসে ক্যালিফোর্নিয়ায় অর্থ লেনদেনের লাইসেন্স পেতে পারে। তবে নিউইয়র্কে এই অনুমোদন ‘কয়েক মাস’ পরেও পেতে পারে।
২০২২ সালে টুইটার অধিগ্রহণের পর চীনের টেনসেন্ট কোম্পানি উইচ্যাটের মতো প্ল্যাটফর্মটিকে ‘সবকিছুর অ্যাপ’ বানাতে চাইছেন মাস্ক। এ জন্য সামাজিক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের জন্য অর্থ লেনদেনের সুবিধা যুক্ত করছে এক্স।
এক্সের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সার্ভিস চালু করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে এক্স প্ল্যাটফর্মটির অর্থ লেনদেনে লাইসেন্স লাগবে। এর আগে মাস্ক বলেন, নিউইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ার অনুমোদন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থ লেনদেনের জন্য এক্স প্ল্যাটফর্মকে লাইসেন্স দিয়েছে পেনসিলভানিয়া ও উটাহসহ আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্য।
এই সম্মেলনে টেসলার প্রধান মাস্ক আরও বলেন, প্ল্যাটফর্মটিতে লাইক ও রিপোস্টের সংখ্যা সরিয়ে ফেলার কথা বিবেচনা করছে এক্স। এই ধরনের তথ্য দৃষ্টিকটু।
এদিকে বকেয়া বেতনসহ মোট ১২ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পাওনা পরিশোধ না করায় গত মঙ্গলবার ইলন মাস্ক ও তাঁর সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম এক্সের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল আদালতে এই মামলা করেন টুইটারের সাবেক সিইও পরাগ আগরওয়ালসহ ৪ কর্মকর্তা।
তাদের অভিযোগ হলো, টুইটার কিনে নেওয়ার সময় কোম্পানির কাছে পাওনা পরিশোধ না করে, বরং তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এই পাওনার মধ্যে আছে—পুরো এক বছরের বকেয়া বেতন, পুরস্কার হিসেবে পাওয়া শেয়ার ও প্রিমিয়াম স্বাস্থ্য বিমা।