নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘিরে সহিংসতার মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের পক্ষ থেকে দেওয়া ৫ জিবি বোনাস ডেটার ৫০০ এমবিও দেশের ৯৯ শতাংশ গ্রাহক ব্যবহার করতে পারেনি। ইন্টারনেটে ধীর গতির কারণে এমনটি ঘটেছে বলে দাবি করেছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
গ্রাহকদের সঙ্গে এ প্রহসনমূলক আচরণের প্রেক্ষিতে ৫ দফা দাবিও তুলে ধরেছে সংগঠনটি। দাবি না মানা হলে ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করে সংগঠনটি। সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বিবৃতিতে জানান, একটানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৯ তারিখ বিকেলে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। যদিও রাত ৮টা পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ জেলায় ইন্টারনেট সচল হয়নি।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের দাবি ছিল-মোবাইল ইন্টারনেট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডেটা সচল করার। কিন্তু বিটিআরসি গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনা না করে, প্রতিমন্ত্রী ও অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেয়-অপারেটর ৫ জিবি করে ইন্টারনেট ডেটা বোনাস হিসেবে দেবে। মান্থলি প্যাকেজ ব্যবহারকারীদের ছাড়া সাধারণ গ্রাহকদের বিকেল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ৫ জিবি ইন্টারনেট ডেটা প্রদান করে। যদিও টেলিটক গ্রাহকদের বোনাস দেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিবৃতিতে মহিউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে জানান, দুঃখের বিষয় হলো- ইন্টারনেটে গতি ৫০ কেবিপিএসে নেমে আসে। সর্বোচ্চ গতি ছিল ৩ এমবিপিএস। ফলে ইন্টারনেট ডেটা সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৫০ জিবি খরচ করতে পেরেছে গ্রাহক। আজ বোনাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু অব্যবহৃত রয়ে গেছে প্রায় চার থেকে সাড়ে ৪ জিবি ইন্টারনেট ডেটা।
এর প্রেক্ষিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৫টি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো—
১) ফোর-জি গাইডলাইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন গতি ২০ জিবিপিএস প্রদান করতে হবে।
২) গ্রাহকের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করার সুযোগ দিতে হবে।
৩) ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দিতে হবে।
৪) ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জুলাই মাসের বিল ৫০ শতাংশ কম আদায় করতে হবে।
৫) রাস্তাঘাটে মোবাইল চেক করার নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া সাধারণ গ্রাহকদেরকে যাতে হেনস্তা করা না হয়।
বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়—‘আগামী ২ দিনের মধ্যে আমাদের দাবি দাওয়া মেনে না নিলে, আগামী রোববার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।’