হোম > প্রযুক্তি

অনলাইন বিজ্ঞাপনে গুগলের একচেটিয়া অবৈধ দখল, মার্কিন আদালতের রায়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

নিউ ইয়র্ক সিটির হাডসন স্কয়ারের ৫৫০ ওয়াশিংটন স্ট্রিটে গুগলের নতুন সদর দপ্তরের বাইরের অংশ। ছবি: এএফপি

গুগল অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রযুক্তির মূল ক্ষেত্রগুলোতে অবৈধভাবে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে বলে রায় দিয়েছেন একজন মার্কিন ফেডারেল বিচারক। এই মামলায় মূলত তিনটি ক্ষেত্রে গুগলের আধিপত্যের বিষয়টি তুলে ধরা হয়— ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক, পাবলিশার টুলস এবং অ্যাড এক্সচেঞ্জ। এর মধ্যে পাবলিশার টুলস এবং অ্যাড এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে গুগল শেরম্যান অ্যাক্টের ধারা ১ এবং ২ লঙ্ঘন করেছে বলে আদালত রায় দিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভার্জিনিয়ার ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ লিওনি ব্রিনকেমা তিন সপ্তাহের বিচার প্রক্রিয়ার পর এই রায় দিয়েছেন। এই রায় মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে একমত, যারা বিশাল ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বাজারে গুগলের ক্ষমতা সীমিত করতে চায়।

আদালতের ১১৫ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক ব্রিনকেমা বলেন, গুগল তাদের পাবলিশার অ্যাড সার্ভার এবং অ্যাড এক্সচেঞ্জ ব্যবসাকে প্রযুক্তি এবং নীতিমালার মাধ্যমে এমনভাবে একীভূত করেছে, যা তাদের ওই বাজারে একচেটিয়া ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা এবং তা রক্ষায় সহায়তা করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘গুগল তাদের গ্রাহকদের ওপর প্রতিযোগিতা-বিরোধী নীতিমালা চাপিয়ে দিয়েছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে জনপ্রিয় কিছু ফিচার বাদ দিয়ে দিয়েছে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিযোগিতার সুযোগ নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি গুগলের গ্রাহক প্রতিষ্ঠানগুলো, সমগ্র প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া এবং উন্মুক্ত ওয়েবের তথ্য ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’

এই রায়ের ফলে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ইন্ডাস্ট্রিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। এমনিতেই ২০২৪ সাল বিজ্ঞাপন বাজারের জন্য অস্থির বছর— এই রায় পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এর আগে গত আগস্টে গুগলকে অনুসন্ধান বাজারে (search market) একচেটিয়া ক্ষমতা রাখার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। সেই মামলায় প্রস্তাব ছিল গুগলের জনপ্রিয় ক্রোম ব্রাউজার আলাদা করে দেওয়া হতে পারে। যদিও গুগল তখন আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে বলে, তাদের জনপ্রিয়তা শুধু উন্নত পণ্যসেবার কারণেই।

গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট বর্তমানে বিজ্ঞাপন থেকেই অধিকাংশ আয় করে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ অনুসন্ধান বিজ্ঞাপন (search ads)। এখন নতুন এই বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি সংক্রান্ত রায়ের ফলে গুগলকে হয়তো আরও কিছু ব্যবসা থেকে সরে আসতে হতে পারে। তবে আদালত এখনো চূড়ান্ত শাস্তিমূলক পদক্ষেপ ঠিক করেনি।

এ বিষয়ে গুগলের পক্ষ থেকে মার্কেটিং ডাইভের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে, মেটা প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধেও এই সপ্তাহেই একটি অ্যান্টি ট্রাস্ট ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বাজার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ আরও শক্তভাবে তুলছে।

গুগল আগামী ২৪ এপ্রিল তাদের ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সাশ্রয়ী ফোন আনল রিয়েলমি

এআইকে ব্যক্তিগত অর্থ উপদেষ্টা বানালেন ২৭ বছরের এই সিইও

চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ধারণাকে প্রাধান্য দেয়

মিরর ব্যাকটেরিয়া কি আধুনিক পৃথিবীর নতুন মারণাস্ত্র

অনলাইনে কেনাকাটার নিরাপদ উপায়

গুগলের নতুন ফিচার: সাধারণ হেডফোনই হবে রিয়েল–টাইম অনুবাদক

ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের