অনলাইন ডেস্ক
অনলাইনে রাজনৈতিক প্রচারণার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার বাড়ছে। তবে যে মাত্রায় ব্যবহার বাড়ছে, সে মাত্রায় প্রভাব পড়ছে না বলে গুগলের মালিকাধীন যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি ম্যান্ডিয়েন্ট জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে।
ভার্জিনিয়ার এই কোম্পানির গবেষকরা বলছেন, ২০১৯ সাল থেকে এমন ‘অনেক ঘটনা’ তারা দেখেছেন, যেখানে এআই দিয়ে কনটেন্ট তৈরি হয়েছে। যেমন- রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রোফাইল ছবি বিকৃতি করে অনলাইনে প্রচারণাকে প্রভাবিত করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া, চীন, ইরান, ইথিওপিয়া, কিউবা, আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর ও এল সালভাদরসহ বিভিন্ন দেশের সরকারসমর্থিত গোষ্ঠী এসব প্রচারণায় যুক্ত ছিল।
চ্যাট জিপিটির মত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাম্প্রতিক বিকাশের পর এমন ঘটনা বেড়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে নকল ভিডিও, ছবি, টেক্সট ও কম্পিউটার কোড তৈরি করা সহজ হয়ে গেছে। প্রযুক্তির এই মডেল সাইবার অপরাধীরাও ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মকর্তারা।
ম্যান্ডিয়েন্টের গবেষকদের মতে, এসব প্রচারণা গ্রুপ সীমিত সম্পদ নিয়ে এআইয়ের সাহায্যে বড় পরিসরে উচ্চমানের কনটেন্ট তৈরি করতে পারে।
ম্যান্ডিয়েন্ট ইন্টিলেজেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ড্রাগনব্রিজ নামের চীনপন্থী তথ্য প্রচারাভিযান ৩০টি সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ও ১০টি বিভিন্ন ভাষায় দ্রুতই ছড়িয়ে পড়েছিল। হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ২০১৯ সালে এই কার্যক্রম প্রথম শুরু হয়।
তিনি মনে করেন, এই প্রচারাভিযানের প্রভাব ছিল সীমিত। কার্যকারিতার দৃষ্টিকোণ থেকে এখানে তেমন জয় নেই। বিষয়টি এখনো হুমকির পর্যায়ে চলে যায়নি। এর আগে প্রচার–প্রচারণায় প্রভাব ফেলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগকে নাকচ করেছে চীন।
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিজিটাল নিরাপত্তায় সহায়তা দিয়ে থাকে ম্যান্ডিয়েন্ট। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, রাশিয়া, ইরান, চীন ও উত্তর কোরিয়া থেকে হুমকির ক্ষেত্রে এইআইয়ের কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি। গবেষকরা বলছেন, এই ডিজিটাল অনুপ্রবেশ সামনের দিনে আরও কম হবে।