চ্যাটজিপিটি প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওপেনএআই। এ জন্য জালিয়াতি, অপপ্রচার এবং সাইবার কেলেঙ্কারির সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে কোম্পানিটি।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে কোম্পানিটি জানায়, যেহেতু চ্যাটজিপিটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে, প্ল্যাটফর্মটিকে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে কিছু ব্যবহারকারী।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ওপেনএআই সন্দেহজনক কার্যকলাপের ভিত্তিতে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট সরিয়ে ফেলেছে, যেগুলো চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে কোড ডিবাগিং, বিভিন্ন প্রকাশনার জন্য কনটেন্ট তৈরি এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছিল।
চ্যাটজিপিটির সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে, যা এর জনপ্রিয়তার প্রতি ইঙ্গিত দেয়। মাত্র তিন মাসে ১০ কোটি নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত হওয়ায় ওপেনএআই আরও বেশি উদ্যোগ এবং ডেভেলপারদের কাছ থেকে সহায়তা পাচ্ছে। তবে, প্ল্যাটফর্মটি বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুবিধার কারণে এটি সারা বিশ্বে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ব্যবহার করতে পারে। তবে এর মধ্যে কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চ্যাটজিপিটি খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে।
ওপেনএআই জানিয়েছে, তাদের নীতি অনুযায়ী চ্যাটজিপিটি বা এর আউটপুটকে প্রতারণা বা স্ক্যাম চালানোর জন্য ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে তারা বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছে এবং নিষিদ্ধ করেছে।
প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে খারাপ উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হচ্ছিল। যেমন: চীন থেকে প্রকাশিত একটি সংবাদপত্রের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আপত্তিকর খবর তৈরি করছিল, যা লাতিন আমেরিকার একটি মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল।
অন্য একটি উদাহরণে উত্তর কোরিয়ায় এক ব্যবহারকারী চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে ভুয়া চাকরির আবেদন ও সিভি তৈরি করছিল, যাতে পশ্চিমা কোম্পানিতে চাকরি পেতে পারে।
এ ছাড়া, কম্বোডিয়ার কিছু অ্যাকাউন্ট চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে প্রেমের ফাঁদে ফেলানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে (যেমন: এক্স ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম) মন্তব্য তৈরি ও অনুবাদ করছিল।
ওপেনএআই জানিয়েছে, তারা এসব কার্যকলাপের বিষয় মেটার মতো অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে শেয়ার করছে যেন তাদের প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধ করতে পারে।
তথ্যসূত্র: মিডিয়াম ও ডিজিটাল ট্রেন্ডস