কুহেলী রহমান
মিশনের সময় নভোচারীরা বেশ কয়েক মাস, এমনকি বছরজুড়ে পরিবার ও বন্ধুবান্ধববিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের উপায়ও সীমিত থাকে বলে প্রায়ই মহাকাশচারীরা একাকিত্বে ভোগেন। ১৯৯৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চালানো ৩১টি গবেষণায় দেখা গেছে, ভিআর ব্যবহার করা ব্যক্তিদের সুনির্দিষ্ট দক্ষতা বা আচরণ শেখার প্রবণতা বেশি, যা তাঁদের মানসিক অবসাদ কমিয়ে আনার বেলায়ও সহায়ক ভূমিকা রাখে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীদের একাকিত্ব দূর করতে নাসার এক মিশনে পাঠানো হয়েছে একটি ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি হেডসেট। নভোচারীর মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় রেখে প্রথমবারের মতো এটি পাঠিয়েছে মার্কিন গবেষণা সংস্থাটি। মিশনে থাকা নভোচারীদের মানসিক স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করবে এমন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করলে সেটি নভোচারীদের পৃথিবীতে ফিরে আসার পর সুস্থ জীবনধারার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ভূপৃষ্ঠ থেকে দূরে থাকার ফলে তৈরি প্রতিকূল মানসিক পরিবেশের ভোগান্তি নিরসনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা।
‘এইচটিসি ভাইব’ নামের বিশেষ হেডসেটটি সবার আগে পরার সুযোগ পেয়েছেন ডেনমার্কের নভোচারী আন্দ্রেয়াস মজেনসেন। ৯ নভেম্বর স্পেসএক্সের ‘সিআরএস-২৯’ সরবরাহ মিশনের অংশ হিসেবে হেডসেটটি পাঠায় নাসা। আইএসএসে ভিআর হেডসেট ব্যবহারের প্রথম ঘটনা নয় এটি। এর আগের পরীক্ষাগুলোয় মহাকাশ স্টেশনে থাকা মাধ্যাকর্ষণ-সংশ্লিষ্ট সমস্যার কারণে ‘মোশন সিকনেস’-এর মতো ফলাফলও দেখা গেছে। তবে নতুন ট্র্যাকিং প্রক্রিয়ায় হেডসেটের কন্ট্রোলার নিজে নিজেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট