এক্সিলেটর প্যাডেলে ত্রুটির কারণে ৩ হাজার ৮৭৮টি সাইবারট্রাক বাজার থেকে তুলে নিচ্ছে ইলন মাস্কের কোম্পানি টেসলা। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিসট্রেশন (এনএইচটিএসএ) অনুযায়ী, এই ত্রুটির কারণে গাড়ির আরোহীরা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে।
গাড়িগুলো সরিয়ে ফেলা নিয়ে টেসলা একটি উত্তাল সময় পার করছে। গত সোমবার প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী ও দুজন উচ্চপর্যায়ের কর্মী ছাঁটাই করেছে কোম্পানিটি। এর কয়েক দিন পরেই কোম্পানিটির সিইও ইলন মাস্কের বিশাল ক্ষতিপূরণ প্যাকেজে পুনরায় ভোট অনুরোধ করে টেসলা। এই বছরের শুরুতে এক বিচারক প্যাকেজের পরিকল্পনাটি বাতিল করেন।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই সাইবারট্রাকের এক্সিলেরেটরের প্যাডেলের ত্রুটি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছিল। এই সমস্যা সমাধানে সাইবারট্র্যাকের সরবরাহও থামিয়ে দেয় কোম্পানিটি।
বিষয়টি এক্স প্ল্যাটফরমে (সাবেক টুইটার) নিয়ে মাস্ক বলেন, টেসলা বিষয়টি নিয়ে ‘খুব সতর্কতা’ অবলম্বন করছে। এই ত্রুটির জন্য কোনো দুর্ঘটনা বা আঘাতের বিষয়ে কোনো তথ্য কোম্পানিটির কাছে নেই।
এনএইচটিএসএকে কোম্পানিটি জানায়, গাড়ির প্যাডেলটি হুট করে পড়ে যেতে পারে। এমনকি ওপরের দিকে উঠে আসতে পারে এবং ফুটওয়েলের (যেখানে ড্রাইভার পা রাখেন) সঙ্গে আটকে রাখতে পারে।
টেসলা বলছে, গত ৩১ মার্চ একজন ক্রেতার কাছ থেকে কোম্পানিটি এই সমস্যা সম্পর্ক প্রথম জানতে পারে। গত ৩ এপ্রিল একই সমস্যা নিয়ে আরেকটি নোটিশ পায় টেসলা।
ত্রুটিটি নিয়ে কোম্পানিটি বারবার পরীক্ষার পর গত ১২ এপ্রিল গাড়িগুলো সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানিটি পরীক্ষা করে দেখতে পায় যে, এক্সিলেটর প্যাডেলে একটি অননুমোদিত পরিবর্তন করা হয়েছে। এক্সিলেটরের প্যাডের সঙ্গে এক ধরনের লুব্রিকেন্ট বা পিচ্ছিলকারক পদার্থ (সাবানের মতো) যুক্ত করা হয়েছে। প্যাডেলের সঙ্গে প্যাডের যুক্ত থাকার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এসব লুব্রিকেন্ট।
এনএইচটিএসএ–কে টেসলা জানায়, নতুন এক্সিলেটর প্যাডেলে দিয়ে সাইবারট্র্যাক তৈরি করছে কোম্পানিটি এবং ট্যানজিটে ও ডেলিভারি সেন্টারে থাকা গাড়িগুলোর ত্রুটি সারাতেও কাজ করছে। ক্রয়কৃত সাইবার ট্রাকগুলোরও প্যাডেল পরিবর্তন করে দেবে টেসলা।
২০১৯ সালে সাইবারট্র্যাকের মডেলটি উন্মোচন করে টেসলা। গত বছরের শেষের দিকে সাইবারট্রাকগুলো শিপিং সরবরাহ শুরু হয়। কোম্পানিটি গাড়ি সরিয়ে ফেলার বিষয়টি নতুন নয়। গাড়ি সতর্ক করার লাইটগুলোর ফন্ট ছোট হওয়ায় বেশ কিছু বৈদ্যুতিক গাড়ির সফটওয়্যারও পরিবর্তন করা হয়।
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ