ফ্যান কেন ভেঙে বা ছিঁড়ে পড়ে
পুরো শীতকাল ফ্যান বন্ধ থাকে। নিয়মিত ব্যবহারের আগে দেখে নিন ফ্যান ঠিকমতো লাগানো আছে কি না। ক্লামের সঙ্গে জয়েন্ট ঢিলে হয়ে গেছে কি না, সেটা দেখা দরকার। ফ্যান ছিঁড়ে আহত, নিহত হওয়ার ঘটনা অনেক আছে। নাট-বল্টু ঢিলা থাকলে কিংবা ব্লেডের স্ক্রু ভালোভাবে টাইট দেওয়া না থাকলে ফ্যান ভেঙে বা ছিঁড়ে পড়তে পারে।
ফ্যানের যত্নআত্তি
অনেক দিন ফ্যান না চললে ধুলাবালু, ময়লা জমে। তাই ফ্যান শতভাগ চালুর আগেই একবার পরিষ্কার করে নিন। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, কিছুদিন পরপর ফ্যান পরিষ্কার করতে হবে। সিলিং ফ্যানের পাখাগুলোর ময়লা প্রথমে ফুল ঝাড়ু দিয়ে হালকা ঝেড়ে নিন। পরে ডিটারজেন্ট গোলা পানিতে একটু খাওয়ার সোডা মিশিয়ে কাপড় দিয়ে পাখা ঘষে ময়লা তুলে ফেলুন। পরে আবার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছুন। শুরুতে ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে গেলে ময়লা বেশি ছড়িয়ে পড়বে।
আরও একটি পদ্ধতি হলো—একটি পুরোনো বালিশের কভারের মধ্যে ফ্যানের ব্লেডটি ঢুকিয়ে দিন। এরপর কাপড়ের মুখ চেপে ধরে হালকা করে টেনে নিন। দেখবেন সব ময়লা কভারের মধ্যে জমা হয়েছে। শুধু সিলিং ফ্যান নয়, টেবিল ও এগজস্ট ফ্যানও একইভাবে পরিষ্কার করে নিন। বছরে তিন-চারবার এগজস্ট ফ্যানের কভার এবং মোটরের ওপর জমা ধুলাবালু পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত।
সিলিং ফ্যানের কিছু সমস্যা
সিলিং ফ্যানের সমস্যার অন্ত নেই। এটি হঠাৎ চলতে চলতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গতি হতে পারে ধীর। আগের চেয়ে শব্দ করে অনেক বেশি। সুইচ অন কিন্তু একটি পাখাও ঘুরছে না। এই সমস্যাগুলো সুইচ পুড়ে যাওয়া, কয়েল পুড়ে যাওয়া, ক্যাপাসিটার নষ্ট হয়ে যাওয়া, রেগুলেটর পুড়ে যাওয়া, বিয়ারিং জ্যাম হয়ে আটকে যাওয়া ইত্যাদি কারণে হতে পারে। ভালো মানের ক্যাপাসিটারের দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। ২০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের সুইচ বোর্ড পাওয়া যাবে। ভালো রেগুলেটরের দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। ভালো জিনিস কিনে সমস্যাগুলো দূর করুন।
বিভিন্ন দামে বাজারে ন্যাশনাল, ওয়ালটন, ক্রাউন, যমুনা, বিআরবি ইত্যাদি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান পাওয়া যায়। আকারভেদে এসব ফ্যানের দাম ২ হাজার ২০০ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে।
চার্জার ফ্যান
বাজারে হরেক ব্র্যান্ডের বিভিন্ন আকারের চার্জার ফ্যান আছে। আকারভেদে এসব ফ্যানের দাম ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে।