তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের এই উজ্জ্বল সময়ে ইন্টারনেট আমাদের জীবনকে সহজ করলেও ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় তথ্য চুরি এবং ফাঁসের ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিদিন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিরাপদ অনলাইন স্পেসের অভাবে ৪১ শতাংশ তথ্য ফাঁস হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দেশের প্রায় ৬৪ শতাংশ নারী অনলাইনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাই অনলাইন নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন হওয়া এখন অপরিহার্য।
জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট অডিও-ভিডিও কল ও মেসেজিং অ্যাপ ইমো ব্যবহারকারীদের তথ্য নিরাপদ করতে চলতি বছর বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী সিকিউরিটি ফিচার এনেছে।
ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ: তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি মনে করা হয় চ্যাটে থাকা মেসেজ। ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ ফিচারটি চালু থাকলে মেসেজ আদান-প্রদানের পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই মেসেজগুলো দেখা যায়, যা ব্যবহারকারীরা নিজেদের সুবিধামতো নির্ধারণ করতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময় পর ব্যক্তিগত মেসেজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে এই ফিচারের সাহায্যে। ফলে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা হবে এবং তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।
টাইম মেশিন: এ ফিচার ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে যেকোনো কথোপকথন চ্যাট হিস্ট্রি থেকে ডিলিট করা যায়। ফলে ব্যক্তিগত তথ্য থাকে ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণে।
সিক্রেট চ্যাট: সিক্রেট চ্যাট চালু থাকলে চ্যাট উইন্ডো থেকে বের হয়ে যাওয়ামাত্রই সম্পূর্ণ উইন্ডো মুছে যাবে। ফলে যেকোনো তথ্য থাকবে সম্পূর্ণ নিরাপদ।
ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস: সাম্প্রতিক সময়ে স্ক্রিনশট তথ্য ফাঁসের একটি মূল কারণ। ইমো চালু করেছে
ব্লক স্ক্রিনশট ফর কল নামের একটি ফিচার। এর মাধ্যমে যে কাউকে ভিডিও কল চলাকালে স্ক্রিনশট নেওয়া থেকে বিরত রাখতে পারবেন ব্যবহারকারী। এ ফিচারটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখবে।
সিম কার্ড বাইন্ডিং: সিম কার্ড বাইন্ডিং ফিচারটির মাধ্যমে ইমো ব্যবহারকারীদের নিজস্ব ফোনের সিম কার্ডের সঙ্গে ইমো অ্যাকাউন্টটি যুক্ত থাকবে। ফলে শুধু সিম কার্ড ব্যবহার করা ডিভাইসটিতেই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা যাবে। অন্য ডিভাইসে অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা যাবে না। তাই হ্যাকিংয়ের সুযোগ কমে আসবে। সিম কার্ড বাইন্ডিং ফিচারটি সামাজিক মাধ্যমে প্রথম চালু করেছে ইমো।
ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট: অপরিচিত ব্যবহারকারীদের অযাচিত মেসেজ একটি বড় সমস্যা সামাজিক মাধ্যমগুলোয়। ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ ব্যবহার করলে যোগাযোগ স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত অপরিচিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষদের দূরে রেখে ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন বা রাখবেন না, সেই সিদ্ধান্ত থাকবে ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণে।
সূত্র ও ছবি: ইমো