নিজেদের কার্গো বিমানের অতিরিক্ত স্থান বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছে ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন। মহামারি পরবর্তী সময়ে অনলাইনে বিক্রি কমে যাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে নতুন এ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠানটির।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে আমাজনের প্রায় ১০০টি কার্গো বিমান রয়েছে। চলমান আর্থিক মন্দা সত্ত্বেও আমাজন এয়ারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে কোম্পানিটি এই কঠিন সময়ে মুনাফা বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়ায় বিমানগুলোর অব্যবহৃত স্থান থেকে অর্থ উপার্জনের চাপ বাড়ছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এয়ারলাইনগুলোর জন্য অভিজ্ঞ কর্মী নিয়োগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৬ সালে এয়ার কার্গো পরিষেবা উন্মোচন করে আমাজন। প্রতিষ্ঠানটি আশা করেছিল, এই পরিষেবা শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেড পার্সেল সার্ভিস ইনকরপোরেটেড এবং ফেডেক্স করপোরেশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এর আগের বছরগুলোতে দ্রুত রাজস্ব প্রবৃদ্ধি এবং সিনসিনাটি/উত্তর কেনটাকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি কেন্দ্রে ১৫০ কোটি ডলারের বিনিয়োগের ফলে ধারণা করা হয় কোম্পানিটি রাতারাতি বিশাল পার্সেল পরিষেবা হতে চলেছে। আমাজন এয়ার সারা দেশে গুদামগুলোর কাছাকাছি ছোট আঞ্চলিক বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার করে। এর ফলে কোম্পানিটি এক থেকে দুই দিনের মধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন করতে পারে।
বিনিয়োগকারীরা জানান, ফেডেক্স এবং ইউপিএসের মতো বৃহত্তর ডেলিভারি সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আমাজন এখনো অনেক ছোট পরিসরে রয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটির কাছে আমাজনের চেয়ে বেশি কার্গো বিমান রয়েছে। ফলে তারা আরও ফ্লাইট পরিচালনা করতে সক্ষম।
এয়ার কার্গোর চাহিদা চলতি বছর বেশ কম ছিল এবং ২০২৩ সালে তা আরও কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এয়ারলাইন ট্রেড গ্রুপ আইএটিএ ধারণা করছে, এই খাতটি আগামী বছর প্রায় ১৫ হাজার কোটি ডলার আয় করবে যা ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় ৫ হাজার ২০০ কোটি ডলার কম। তবে ২০১৯ সালের তুলনায় ৪ হাজার ৮৬০ কোটি ডলার বেশি।