বকেয়া বেতনসহ মোট ১২ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পাওনা পরিশোধ না করায় ইলন মাস্ক ও তাঁর সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম এক্সের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল আদালতে গতকাল মঙ্গলবার এই মামলা করেন টুইটারের সাবেক সিইও পরাগ আগরওয়ালসহ ৪ কর্মকর্তা।
তাদের অভিযোগ হলো, টুইটার কিনে নেওয়ার সময় কোম্পানির কাছে তাদের পাওনা পরিশোধ না করে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এই পাওনার মধ্যে আছে-পুরো এক বছরের বকেয়া বেতন, পুরস্কার হিসেবে পাওয়া শেয়ার ও স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম। এসবের মোট আর্থিক মূল্য ১২ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
মামলার অপর তিন বাদী হলেন-টুইটারের সিএফও নেড সেগাল, প্রধান কৌঁসুলি বিজয়া গাড্ডে ও সাবেক প্রধান কৌঁসুলি কাউন্সেল শন এজেট।
এপি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে মোট ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে বা শেয়ারপ্রতি ৫৪ দশমিক ২০ মার্কিন ডলারে টুইটার কিনে নেন মাস্ক।
নির্বাহীরা অভিযোগ করেন, ভুয়া কারণ দেখিয়ে মাস্ক তাদের চাকরিচ্যুত করেন এবং নিজের কোম্পানির কর্মীদেরকে নিয়োগ দিয়ে তাঁর সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে চান।
অভিযোগকারীদের মধ্যে পরাগ আগরওয়াল ৫ কোটি ৭৪ লাখ, নেড সেগাল ৪ কোটি ৪৫ লাখ, বিজয়া গাডডে ২ কোটি ও শন এজেট ৬৮ লাখ ডলারেরও বেশি পাবেন বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।
মামলার নথি অনুযায়ী, ‘মাস্ক ও এক্স কর্পোরেশন অন্যায়ভাবে নথি আটকে রেখে, অযথা সিদ্ধান্ত বিলম্বিত করে, কর্মচারী অবসর ভাতা সুরক্ষার আইনের অপব্যবহার করে পাওনা পরিশোধে টালবাহানা করছেন। সাধারণত এভাবেই মাস্ক কর্মচারীদের সঙ্গে অন্যায় করে থাকেন। এটি তাঁর সহজাত প্রবৃত্তি।’
কোম্পানি কেনা নিয়ে আগরওয়ালের সঙ্গে বিরোধ হলে মাস্ক চুক্তি থেকে সরে আসতে চান। কিন্তু এই নির্বাহীরা আদালতে টেনে নিয়ে মাস্ককে চুক্তি করতে বাধ্য করেন। এই কারণে মাস্ক ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁদের চাকরিচ্যুত করেন।
নতুন মামলার বিষয়ে ইলন মাস্ক বা এক্স কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।