টেসলা বড় ধরনের অধিগ্রহণ করেছে বলে এমন তথ্য বেশ কিছুদিন ধরেই ইন্টারনেটে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তবে গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি ‘ফোর্ড’–কে কিনে নেয়নি ধনকুবের ইলন মাস্ক। কোম্পানিটি কিনে নেওয়ার খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে নিশ্চিত করেছেন ফোর্ডের মুখপাত্র।
ইন্টারনেট ছড়ানো কিছু গুজব আবার এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মতো টেসলা সম্পর্কিত ভুয়া খবর ও গুজব ইউটিউবেও প্রচার করা হচ্ছিল।
ইউটিউব চ্যানেল ‘ইলন মাস্ক রিওয়াইন্ড’ ও ‘ভয়েজার’–এই দুটির মধ্যে একটি থেকে এই ভুয়া তথ্যটি ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ‘ইলন মাস্ক রিওয়াইন্ড’ চ্যানেলের ভিডিওর ‘ডেসক্রিপশন বক্সে’ লেখা থাকে—‘সত্য নয় এমন তথ্য ভিডিওতে রয়েছে’।
তবে অন্যান্য চ্যানেলে দাবি করা হয়েছে যে, টেসলা জিপ-নির্মাতা স্টেলান্টিসকে কিনছে এবং হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি চালু করবে। মাস্কের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে ভিউ বাড়ানোর জন্য এসব ভুয়া নিউজ তৈরি করে চ্যানেলগুলো।
টেসলা ছাড়াও বেশ কয়েকটি কোম্পানি রয়েছে ইলন মাস্কের। সেগুলো হলো—মহাকাশযান প্রস্তুতকারক কোম্পানি স্পেসএক্স, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক স্টার্টআপ এক্সএআই, মতিষ্কে চিপ স্থাপন কোম্পানি নিউরালিংক।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় ইলন মাস্কের সমর্থন এবং অর্থ বিনিয়োগের কারণে মাস্ক ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নির্বাচনের পরে টেসলার শেয়ার দরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে টেসলার বাজারমূল্য ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এর পাশাপাশি স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেটের সফল উৎক্ষেপণ ও ফিরে আসাও মাস্কের জন্য ভালো খবর।
তবে টুইটার কেনা এবং ফোর্ড কেনা দুইটি পুরোপুরি আলাদা বিষয়। কারণ ফোর্ডের বৈদ্যুতিক গাড়ির মডেলগুলো এফ ১৫০ লাইটনিং এবং মাশট্যাং ম্যাকই টেসলার জনপ্রিয় মডেল ওয়াই এবং সাইবার ট্রাকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। এ ছাড়া ইভি চার্জিং স্টেশন তৈরি করার ক্ষেত্রে টেসলা এখনো আধিপত্য বজায় রাখলেও অন্যান্য কোম্পানিও এটি করতে শুরু করেছে। এটি ইভি ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধা তৈরি করলেও টেসলা নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
তাই ইলন মাস্ক ফোর্ড কোম্পানিকে অধিগ্রহণ করলে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে মাস্কের প্রতিযোগিতা কমে যেত।
তথ্যসূত্র: কোয়াটার্জ