হোম > প্রযুক্তি

এআইয়ের নকশায় তৈরি হচ্ছে ওষুধ, পরীক্ষামূলক ব্যবহার এ বছরই

অনলাইন ডেস্ক

ডেমিস হাসাবিস। ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে নকশা করা একটি ওষুধের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে এ বছরের শেষ দিকে। ওষুধটি তৈরি করেছে গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের ওষুধ নিয়ে কাজ করা কোম্পানি আইসোমরফিক ল্যাবস। এর প্রতিষ্ঠাতা স্যার ডেমিস হাসাবিস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডেমিস হাসাবিস ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ, স্নায়বিক অবক্ষয় এবং অন্যান্য বড় রোগগুলোর দিকে নজর দিচ্ছি। আমি মনে করি, এই বছরের শেষের মধ্যে আমরা আমাদের প্রথম ওষুধ পাব।’

আইসোমরফিক ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা আরও বলেন, ‘একটি ওষুধ আবিষ্কার করতে সাধারণত গড়ে পাঁচ থেকে দশ বছর সময় লাগে। কিন্তু হয়তো আমরা সেই সময়কে দশ গুণ দ্রুত করতে পারব (সময় কমিয়ে আনা সম্ভব হবে), যা মানব স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এক বিস্ময়কর বিপ্লব হবে।’

হাসাবিস গত বছর তাঁর সহকর্মী জন জাম্পার এবং জীববিজ্ঞানী ডেভিড বেকারের সঙ্গে মিলে যৌথভাবে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি জানান, আইসোমরফিক ল্যাবস ২০২১ সালে গুগলের এআই গবেষণা শাখা ডিপমাইন্ড থেকে আলাদা হয়ে যাত্রা শুরু করলেও এটি এখনো অ্যালফাবেটের মালিকানাধীন একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

ওষুধ তৈরিতে খরচ কমাতে এবং ব্যয়সাপেক্ষ ওষুধ উন্নয়ন প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা বাড়াতে আগ্রহী ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর নজর কেড়েছে এই স্টার্ট-আপ। এর আগে, হাসাবিস এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁর গবেষক দল এলি লিলি এবং নোভার্টিসের সঙ্গে ছয়টি ওষুধ তৈরির প্রকল্পে কাজ করছে।

হাসাবিস আইসোমরফিক ল্যাবসের পাশাপাশি গুগল ডিপমাইন্ডের সিইও—এর দায়িত্ব পালন করছেন হাসাবিস। তিনি বলেন, গুগলের এআই সহায়ক প্রোটোটাইপ ‘প্রজেক্ট অ্যাস্ট্রা’ সম্ভবত এই বছরই সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত হবে। তিনি বলেন, তিনি এমন এক অদূর ভবিষ্যতের কল্পনা করেন যেখানে তিন বছরের মধ্যে কয়েক বিলিয়ন এআই এজেন্ট বিক্রেতা এবং গ্রাহকের পক্ষ থেকে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করবে।

তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এআই প্রযুক্তি বিকাশকারী প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও সতর্কতা এবং সমন্বয়ের প্রয়োজন। বিশেষ করে কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা নির্মাণের বিষয়ে। তিনি সতর্ক করে বলেন যে, প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বা ‘খারাপ মানুষের হাতে’ চলে গেলে তা তা মানব সভ্যতার জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

হাসাবিস জানান, গুগলের ডিপমাইন্ডের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো—কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টি করা। এটি মানব মস্তিষ্কের সব ধরনের বৌদ্ধিক সক্ষমতা প্রদর্শনে সক্ষম হবে। তিনি জানান, যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক আলোচনা হলেও সত্যিকারের কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা তৈরি হতে পাঁচ থেকে দশ বছর সময় লাগবে।

হাসাবিস বলেন, ‘যে কাজ সম্ভব এবং মূল্যবান, মানুষ তা করবেই। আমরা এখন সেই পর্যায়ে পৌঁছে গেছি, যেখানে এআই প্রযুক্তি আর নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না, তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে এটি পৃথিবীতে যতটা সম্ভব নিরাপদভাবে উপস্থাপন করার জন্য।’

আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে স্বর্ণসহ ১০ পদক জয় বাংলাদেশের

বিশ্বের শীর্ষ ১০ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের তালিকায় টেকনো

ইনস্টাগ্রামের মতো যে ফিচার যুক্ত হলো হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে

স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস ২৫ সিরিজের মোড়ক উন্মোচন কাল, দেখবেন যেভাবে

জাকারবার্গ, বেজোস ও মাস্ক: ট্রাম্পের শপথে মন্ত্রীদের আগে বিলিয়নিয়াররা

টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করলেন ট্রাম্প

গাছে পানি দেওয়ার দেশীয় প্রযুক্তি

ভার্চুয়াল দুনিয়ার বাস্তব অভিজ্ঞতা

১ লাখ ৬০ হাজার বছর পর দেখা যাবে

ট্রাম্পের নামে ক্রিপ্টোকারেন্সি

সেকশন