হোম > প্রযুক্তি

বইয়ের মতো ভাঁজ করা যাবে এই ই-রিডার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ডিভাইসটি সমানভাবে সম্পূর্ণ খোলা যায়, আবার ৯০ ডিগ্রিতে ভাঁজ করে রেখেও পড়া যায়। ছবি: রিডমু

ফোল্ডেবল ফোনের দৌড়ে যখন স্যামসাং, হুয়াওয়ে বা অপো একে অপরকে টপকে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত, প্রযুক্তির বাজারে ঠিক তখন এক অপ্রত্যাশিত প্রতিদ্বন্দ্বী মাঠে নেমেছে। সেটি হলো ভাঁজযোগ্য ইবুক রিডার। ই-ইংক প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ই-রিডারে বই পড়ার অভিজ্ঞতা এখন অনেকটাই কাগজের বইয়ের মতো। সেই অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করতে এগিয়ে এল তাইওয়ানের প্রতিষ্ঠান রিডমু। বিশ্বের প্রথম ভাঁজযোগ্য ই-রিডার ‘মুনইংক ভি’ তৈরি করেছে তারা।

প্রথম দেখায় অনেকেই একে স্মার্টফোনের ভাঁজযোগ্য সংস্করণ ভেবে ভুল করতে পারেন। তবে এটি আসলে একটি পূর্ণাঙ্গ ই-রিডার, যা ভাঁজ করা যায়—একদম কাগুজে বইয়ের মতো করে। নির্মাতারা জানিয়েছেন, প্রায় ৯ বছর গবেষণার পর তাঁরা এই ডিভাইস তৈরি করতে পেরেছেন।

ডিভাইসটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ই-ইংকের গ্যালারি ৩ প্রযুক্তিনির্ভর ৮ ইঞ্চির রঙিন টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে, যা ৫০ হাজার রঙের শেড দেখাতে পারে। প্রতি ইঞ্চিতে ৩০০ পিক্সেল রেজল্যুশন থাকবে।

ভাঁজযোগ্য ইবুক রিডারটির ওজন মাত্র ২২৫ গ্রাম। তাই ডিভাইসটি দীর্ঘক্ষণ হাতে ধরে রাখলেও অস্বস্তি অনুভব হবে না। এই ডিভাইস তৈরি হয়েছে অ্যালুমিনিয়াম-ম্যাগনেশিয়াম অ্যালয়ের বডিতে, যার ওপর চকচকে রুপালি রঙের ফিনিশিং। রিডমুর দাবি, ভাঁজ করা অবস্থায় এটি এমন ছোট হয়ে যায় যে সহজেই একটি জিনসের প্যান্টের পকেটেও রেখে দেওয়া যায়।

ডিভাইসটি সমানভাবে সম্পূর্ণ খোলা যায়, আবার ৯০ ডিগ্রিতে ভাঁজ করে রেখেও পড়া যায়, যা কাগুজে বই পড়ার অনুভূতি দেয়।

তবে ভাঁজযোগ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বড় উদ্বেগ হলো এর টেকসই গুণাগুণ। রিডমু জানিয়েছে, মুনইংক ভি তৈরিতে তাদের সময় লেগেছে ৯ বছর। কারণ, ই-পেপার ডিসপ্লে সাধারণ ফোল্ডেবল ফোনের ওএলইডি প্যানেলের চেয়ে চার গুণ বেশি পুরু। এত পুরু ডিসপ্লেকে টেকসইভাবে ভাঁজযোগ্য করে তুলতে দীর্ঘ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রয়োজন হয়েছে।

ভাজযোগ্য ইবুক রিডারটি ওজন মাত্র ২২৫ গ্রাম। ছবি: রিডমু

নির্মাতারা জানিয়েছে, কোনো সমস্যা ছাড়াই মুনইংক ভি ডিসপ্লে একটানা ২ লাখবার পর্যন্ত ভাঁজ করা যাবে।

তবে রিডমু এখনো জানায়নি কবে নাগাদ মুনইংক ভি বাজারে আসবে বা এর দাম কত হবে। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা, এটি হবে একটি প্রিমিয়াম মূল্যের ডিভাইস, ঠিক যেমনটা দেখা যায় অন্যান্য ফোল্ডেবল প্রযুক্তির পণ্যগুলোতে।

উল্লেখ্য, অ্যামাজন সম্প্রতি তাদের প্রথম রঙিন ই-রিডার ‘কিনডেল কালারসফট’ বাজারে এনেছে ২৭৯ ডলার মূল্যে। তবে এতে স্ক্রিন রঙের অসংগতি দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সাশ্রয়ী ফোন আনল রিয়েলমি

এআইকে ব্যক্তিগত অর্থ উপদেষ্টা বানালেন ২৭ বছরের এই সিইও

চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ধারণাকে প্রাধান্য দেয়

মিরর ব্যাকটেরিয়া কি আধুনিক পৃথিবীর নতুন মারণাস্ত্র

অনলাইনে কেনাকাটার নিরাপদ উপায়

গুগলের নতুন ফিচার: সাধারণ হেডফোনই হবে রিয়েল–টাইম অনুবাদক

ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের