অনলাইন ডেস্ক
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাব হারালেন ইলন মাস্ক। শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রকাশ করা বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে দেখা যায়, দ্বিতীয় অবস্থানে নেমেছেন টেসলা ও টুইটারের প্রধান মাস্ক। তাঁর বর্তমান সম্পদ ১৭৬ বিলিয়ন ডলার।
গত বছরে ডিসেম্বরে ইলন মাস্ককে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তকমা অর্জন করেন ফরাসি ধনকুবের বার্নার্ড আর্নল্ট। বিলাসপণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এলভিএমএইচ, অর্থাৎ লুই ভিতোঁরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
এর দুই মাসেরও বেশি সময় পর বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাব ফিরে পেয়েছিলেন ইলন মাস্ক। তাঁর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৮৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। গেল সোমবার টেসলার শেয়ারের দাম বেড়ে গেলে ইলনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তবে এবার আবারও বার্নার্ড আর্নল্ট শীর্ষ অবস্থানে ফিরে এসেছেন। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ১৮৭ বিলিয়ন ডলার। আর মাস্কের বর্তমান সম্পদ ১৭৬ বিলিয়ন ডলার।
তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন জেফ বেজোস। তাঁর সম্পদের পরিমাণ এখন ১১৬ বিলিয়ন ডলার। এই তালিকার ৪ নম্বরে রয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১১৪ বিলিয়ন ডলার।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্মীদের পাঠানো এক ই-মেইলে মাস্ক বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি দীর্ঘ মেয়াদে টেসলা পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি হবে।’ ই-মেইলে কর্মীদের এই (গত বছরের শেষ ত্রৈমাসিক) ত্রৈমাসিকের শেষে ডেলিভারি বাড়ানোর জন্যও অনুরোধ করেন মাস্ক। তিনি বলেন, ‘সম্ভব হলে অনুগ্রহ করে পরের কয়েক দিনের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হয়ে পণ্য ডেলিভারি করতে সহযোগিতা করুন। এটি বর্তমান অবস্থার সঙ্গে বাস্তব পার্থক্য তৈরি করবে!’
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইলন মাস্ক বর্তমানে টেসলার প্রায় ১৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক। বিশ্লেষকেরা বলেছেন, ‘টেসলার শেয়ার কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করলে বিশেষ সুবিধা পাবেন মাস্ক। দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে দান করা শেয়ারগুলো থেকে যে মূলধন লাভ হয়েছে, তার ওপর কর দিতে হয় না। কিন্তু মাস্ক শেয়ারগুলো বিক্রি করে দিলে সেখান থেকে আয়ের ওপরে তাঁকে কর দিতে হতো।’ এর আগে ২০২১ সালে প্রায় ৫৭৪ কোটি ডলার দান করেছিলেন মাস্ক।