পণ্য সরবরাহের জন্য ড্রোন সেবার উন্মোচন করল বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন। ‘প্রাইম এয়ার ড্রোন’ প্রজেক্টের আওতায় ক্রেতাদের ড্রোনের মাধ্যমে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের দুটি শহরে এটি প্রাথমিকভাবে চালু হবে।
আমাজন অনেক দিন ধরেই প্যাকেজ ডেলিভারির সময় কমিয়ে আনার কথা বলছে। জেফ বেজোস প্রথমবার ড্রোন ডেলিভারির ঘোষণা দেন ২০১৩ সালে।
‘ডাবড এমকে ২৭-২’ ড্রোনটি এ বছরের শেষ নাগাদ পণ্য সরবরাহ শুরু করবে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ‘লকফোর্ড’ শহর এবং টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ‘কলেজ স্টেশন’ শহর থেকে ড্রোনটির কার্যক্রম শুরু হবে। ড্রোনটির ওজন প্রায় ৩৭ কেজি। এটি ২ কেজির সামান্য বেশি ওজনের পণ্য সরবরাহ করতে সক্ষম। এটি ক্রেতার ঠিকানায় পৌঁছে ১২ ফুট ওপর থেকে পণ্যের প্যাকেজ নিচে ফেলবে।
আমাজন এক ব্লগপোস্টে বলেছে, ‘আমরা জানি আমাদের ক্রেতারা ড্রোনের মাধ্যমে পণ্য নেওয়ায় তখনই উৎসাহিত হবেন যখন তাঁরা নিশ্চিত হবেন যে এটি নির্ভরযোগ্য ও ঝুঁকিমুক্ত। আমাদের ড্রোন হয়তো কখনো কখনো পণ্য সরবরাহের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হবে। তবে ড্রোনটি এসব অবস্থায় নিজ থেকেই নিরাপদ সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।’
আমাজন আরও বলেছে, ‘আমরা একটি অত্যাধুনিক “সেন্স অ্যান্ড অ্যান্ড্রয়েড” সিস্টেম তৈরি করেছি। এই প্রযুক্তির ফলে আমাদের ড্রোনগুলো অন্যান্য আকাশযান, মানুষ, পোষা প্রাণী এবং যে কোনো জড় বস্তু থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে পারবে।’
প্রাইম এয়ার ড্রোন প্রোগ্রামের প্রধান ক্যালসি হেনড্রিকসন বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করেছি যে ড্রোনের মাধ্যমে পণ্য সরবারহের ফলে পণ্যের কোনো ক্ষতি হবে না। এ ছাড়া আমাদের পণ্য বিশেষভাবে মোড়কীকরণ করা হয়। যার মাধ্যমে পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।’