মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর প্রধান উদ্দেশ্যই থাকে নতুন প্রজন্মকে আকর্ষিত করা। প্রচলিত এ ধারণা থেকে বের হয়ে সাহসী এক পদক্ষেপ নিয়েছে গুগল। পিক্সেল ডিভাইসের সর্বশেষ সংস্করণগুলো বানানো হয়েছে মা–বাবাদের লক্ষ্য করে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে উন্মোচিত হয়েছে গুগল পিক্সেল ৮ সিরিজ এবং পিক্সেল ওয়াচ ২। নতুন সব ফিচারের জন্য এরই মধ্যে বেশ আলোচিত হয়েছে মডেলটি।
সন্তান লালন–পালন সহজ নয়। কঠিন এ কাজকে সহজ করে এমন গ্যাজেট নিয়ে সব মা–বাবারই আগ্রহ থাকবে। গুগল পিক্সেল ৮ প্রো–তে যেসব ফিচার রয়েছে—
১. নতুন তাপমাত্রার সেন্সর
পিক্সেল ৮ প্রোর সবচেয়ে আলোচিত ফিচারটি হলো—এর নতুন ক্যামেরাতে তাপমাত্রার সেন্সরও রয়েছে। ছোট শিশুদের খাবার প্রস্তুত করার সময় বারবার খাবারে তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হয়। এমনকি গোসলের পানি গরম করার সময়ও তাপমাত্রার বিষয়টি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হয়। খুব বেশি গরম বা খুব বেশি ঠান্ডা দুটোই ডেকে আনতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি।
তাই গুগলের তাপমাত্রা সেন্সরের এ ফিচারটি মা–বাবাদের বেশ কাজে লাগবে।
২. গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট আপগ্রেডস
অন্যান্য মোবাইল ফোন কোম্পানি যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর ডিভাইস তৈরির দিকে ঝুঁকছে, সেদিকে গুগল তাদের ভার্চুয়াল ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টকেই হালনাগাদ করছে।
২০২৩ সালে এসে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের পরিধি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। এ প্রসারণ সম্ভব হয়েছে প্রথমে জেনারেটিভ এআই অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে। এখন গুগল ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে। গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের স্প্যামকল চিহ্নিত করার ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি। এমনকি স্ক্রিনকলের ক্ষেত্রেও এটি অন্যগুলোর তুলনায় ভালো সেবা দেয়।
এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হচ্ছে, অনলাইনে পণ্য কেনার পর ডেলিভারি ড্রাইভার যখন পণ্য নিয়ে এসে ফোন কল করেন, তখন গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট তা বুঝতে পারে। এটি ব্যবহার করে কোনো স্বয়ংক্রিয় জবাব দেওয়া যায়, যেমন—‘অপেক্ষা করুন। আমি আসছি।’ অবশ্য ব্যবহারকারীকে আগে থেকে যে জবাব বেছে নেবেন, ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সে অনুসারে কথা বলবে।
৩. এআই ক্যামেরা ফিচার
গুগল পিক্সেল ফোনের ক্যামেরার ফিচারটি বেশ জনপ্রিয়। পিক্সেল ৮ প্রো সিরিজে এর ক্যামেরার কিছু ফিচার হালনাগাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ‘বেস্ট টেক’ নামের ফটো এডিটিং টুল। পিক্সেল ৮ প্রো ব্যবহার করে পারিবারিক ছবিগুলো সম্পাদনা করা যাবে।
বাচ্চাদের সঙ্গে ছবি তুলতে গেলে সাধারণত তারা স্থির থাকতে চায় না। গুগলের এ মডেলের ফোনে একবারে কখনো ভালো ছবি না এলেও এডিটিং টুল ব্যবহার করে অন্য ছবি থেকে মুখের উপযুক্ত ছবি সেখানে স্থানান্তর করা যাবে।