আইফোন ১৪ সিরিজের সর্বোচ্চ চার্জিং স্পিড ছিল ২০ ওয়াট। এবার আইফোন ১৫ এ ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা নিয়ে আসছে অ্যাপল। অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ী, আইফোন ১৫— এ থাকবে ২৭ ওয়াটে চার্জিংয়ের সুবিধা। তবে ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা পেতে হলে একমাত্র অ্যাপল সার্টিফায়েড ইউএসবি-সি কেবলই কিনতে হবে ব্যবহারকারীদের।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট গিজচায়নার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ফোনগুলোর জন্য সর্বজনীন চার্জিং কেবল তৈরি করতে ২০২৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে আলাদা ফোনের জন্য আলাদা ধরনের চার্জিং কেবলের ঝামেলায় পড়তে হবে না ব্যবহারকারীদের। ফলে আইফোনের নিজস্ব লাইটনিং কেবল পরিহার করে টাইপ-সি সুবিধা যুক্ত করতে হতো। এতে করে নিজস্ব কেবল বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ কমে আসে অ্যাপলের। তবে অ্যাপলের নতুন এই কৌশলে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের সুযোগ একই থাকবে বলে ধারণা বাজার বিশ্লেষকদের।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তে অ্যাপলেরই লাভ হতে যাচ্ছে। আইফোন ১৫ সিরিজের বিভিন্ন এক্সেসরিজ বিক্রি করে অ্যাপল অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করবে।’
এদিকে শোনা যায় এবার সবচেয়ে সরু বেজেল নিয়ে আসছে আইফোন ১৫। এত সরু বেজেলের স্মার্টফোন এর আগে কখনো বানানো হয়নি।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধারণা করা হচ্ছে, সরু বেজেল নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অ্যাপল এর আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স ডিভাইসটি নতুন যুগের সূচনা করবে।। বর্তমানে শাওমি ১৩ স্মার্টফোনে ১ দশমিক ৮১ মিলিমিটারের বেজেল রয়েছে। পরবর্তী অ্যাপল ডিভাইসে বেজেল ১ দশমিক ৫৫ মিলিমিটার পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। অ্যাপলের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাংয়ের সদ্য বাজারে আসা গ্যালাক্সি ২৩ মোবাইলে ১ দশমিক ৯৫ মিলিমিটার পর্যন্ত বেজেল রয়েছে। এদিকে নতুন অ্যাপল স্মার্টফোনে বাড়তি রিফ্রেশ রেট আশা করছে ক্রেতারা। আইফোন ১৫ সিরিজে আইওএস ১৭ ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করা হবে।
আইফোন-১৪ সিরিজের ফোনে রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা থাকার গুঞ্জন থাকলেও তা আর দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আইফোন-১৫ সিরিজের ফোনে এই প্রযুক্তির দেখা পাওয়া পাওয়া যেতে পারে। এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার ফোনের পেছনে ওয়্যারলেস-চার্জ-যোগ্য ইয়ারবাড রাখলে ইয়ারবাডগুলো চার্জ হবে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অন্য ফোন এবং ডিভাইস চার্জ দেওয়া সম্ভব। অর্থাৎ, এই প্রযুক্তির ফোন পাওয়ার ব্যাংকের মতো কাজ করবে।