মুদ্রিত ভিজিটিং কার্ড ব্যবহার করেই আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অভ্যস্ত। অফিসের কিংবা ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য কারও সঙ্গে তথ্য শেয়ার করার প্রয়োজন হলে আমরা মুদ্রিত ভিজিটিং কার্ডই সরবরাহ করে থাকি।
এবার কার্ড ছাপানো ও বিতরণের ঝামেলা এড়াতে চালু হয়েছে ডিজিটাল ‘লিংক কার্ড’। ডিজিটাল কার্ড মুদ্রিত কার্ডের চেয়ে টেকসই সমাধান। এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি অন্যের সঙ্গে ডিজিটাল উপায়ে যোগাযোগের তথ্য স্থানান্তর করতে পারবেন।
লিংক কার্ডটি ‘ট্যাপ’ করা হলে প্রাপক তাঁর স্মার্টফোনে আপনার সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজনীয় তথ্য দেখতে পাবেন। লিংক কার্ডটি দেখতে একটি সাধারণ মুদ্রিত ভিজিটিং কার্ডের মতোই। তবে মূল পার্থক্য হচ্ছে—লিংক কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল উপায়ে তথ্য শেয়ার করতে পারার সুবিধা।
কার্ডটিতে একটি নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) চিপ রয়েছে। চিপটি দিয়েই মূলত তথ্য সরবরাহের কাজটি করা হয়। একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্টফোনের মাধ্যমে দোকানে কেনাকাটার মতো দৈনন্দিন কাজগুলো করা যায়।
কার্ডটি সক্রিয় করার সময় লিংক অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করে নিতে হবে। কার্ডটির সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে কার্ডের প্রোফাইলকে ইচ্ছেমতো কাস্টমাইজ করে নেওয়া যায়। পরিচয়ের পেজের লেআউট, সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল এবং প্রয়োজনীয় লিংক সুবিধামতো ঠিক করে নেওয়া যাবে।
বর্তমানে বেশির ভাগ ডিভাইসেই এনএফসি সুবিধা রয়েছে। তবে যেসব ডিভাইসে এই সুবিধা নেই, তাঁরা লিংক কার্ডের পেছনে থাকা কিউআর কোডটি স্ক্যান করে সহজেই তাঁদের স্মার্টফোনে ‘লিংক’ প্রোফাইলটি দেখতে পাবেন। স্ক্যান করার পর প্রাপক তাঁদের ডিফল্ট মেসেজিং অ্যাপে ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ করার সুবিধা পাবেন।
লিংক কার্ডটি এককালীন একটি দামে কিনতে হয়। এর মধ্যে ‘ক্লাসিক সাদা কার্ড’-এর দাম সবচেয়ে কম—১২ ডলার। রং এবং কার্ডের ডিজাইনের ওপর ভিত্তি করে দাম বিভিন্ন। কার্ডের কোনো গোপন ফি বা সাবস্ক্রিপশনের ব্যবস্থা নেই।
যাঁরা প্রায়ই নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে চান বা হওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তাঁদের জন্য এই কার্ড বেশ কাজের। সহকর্মীকে দেওয়ার জন্য একটি চমৎকার উপহারও হতে পারে এটি।