মেটার মালিকানাধীন ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের কথা আড়ি পেতে শুনছে। টুইটারে এক পোস্টে এমন দাবি করেছেন টুইটারের এক ইঞ্জিনিয়ার। পোস্টটি রিটুইট করে মাস্ক লেখেন, হোয়াটসঅ্যাপকে বিশ্বাস করা যায় না।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে আড়ি পাতার দাবি করা টুইটটি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। টুইটে তিনি লেখেন, ‘যখন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম এবং ভোর ৬টায় জেগে ওঠার পর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে (ফোনের) মাইক্রোফোন ব্যবহার করছে। কী হচ্ছে এসব?’ পরবর্তীতে পোস্টটি রিটুইট করেন মাস্ক।
তবে হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করেছে, এটি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সমস্যা। হোয়াটসঅ্যাপের সব মেসেজ ও কল এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন দ্বারা সুরক্ষিত।
এদিকে, ইন্টারনেটের বিভিন্ন ‘স্প্যাম কল’ শনাক্তে শিগগিরই হোয়াটসঅ্যাপ’সহ অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপে যুক্ত হচ্ছে ট্রুকলারের সুবিধা। ট্রুকলারের প্রধান নির্বাহী অ্যালান মামেডি বলেন, নতুন এই সুবিধাটি বর্তমানে বেটা পর্যায়ে রয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে বিশ্বব্যাপী চালু করা হবে এটি।
ট্রু কলারের ২০২১ সালের প্রতিবেদন অনুসার, ভারতের মতো দেশগুলোতে টেলিমার্কেটিং এবং স্ক্যামিং কল বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের ব্যবহারকারীরা প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১৭টি স্প্যাম কল পান। এমন পরিস্থিতিতে গত ফেব্রুয়ারিতে ‘জিও’ ও ‘এয়ারটেলের’ মতো মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভারতের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিজেদের নেটওয়ার্কে এআইভিত্তিক ফিল্টার ব্যবহার করে বিভিন্ন টেলিমার্কেটিং কল ব্লকের নির্দেশ দিয়েছে।
ট্রুকলার জানিয়েছে, এই ধরনের সমাধান বাস্তবায়ন করতে এরই মধ্যে এটি বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবাদাতার সঙ্গে আলোচনা করেছে।