ব্লু টিক সেবা চালুর কিছুদিনের মধ্যেই সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল টুইটার। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া আইডি খুলে ব্লু টিক নেওয়ার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় গত ১১ নভেম্বর প্ল্যাটফর্মটি ব্লু টিক সাবস্ক্রিপশন সেবা স্থগিত করে। সমস্যা সমাধানে গত ডিসেম্বর থেকে ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর ও পরিচয় যাচাই করে নতুন করে ব্লু টিক দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে টুইটার। তবে শুরুর দিকে ব্লু টিকে সাবস্ক্রাইব করা অর্ধেকেরও বেশি গ্রাহক এখন আর ব্লু টিকে সাবস্ক্রিপশন রাখছেন না।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক মাসের ব্যবধানে শুরুর দিকের ব্লু টিক সাবস্ক্রাইবারদের অর্ধেকেরও বেশি হারিয়েছে টুইটার। গত ৩০ এপ্রিল ব্লু টিক সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ১৫৭ সাবস্ক্রাইবারে। অর্থাৎ ৮১ হাজার ৮৪৩ জন বা ৫৪ দশমিক ৫ শতাংশ ব্লু টিকধারী তাঁদের সাবস্ক্রিপশন বাতিল করেছেন।
এদিকে প্ল্যাটফর্মে সংবাদমাধ্যমকে আয়ের সুযোগ দিতে যাচ্ছেন টুইটারের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শনিবার (২৯ এপ্রিল) এক টুইটে মাস্ক লিখেছেন, ‘আগামী মাস থেকে প্ল্যাটফর্মে প্রতিবেদন পড়ার জন্য প্রতি ক্লিকে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে অর্থ আদায়ের সুযোগ পাবে সংবাদমাধ্যমগুলো।’এই সুবিধায় প্রতি প্রতিবেদন পড়ার জন্য আলাদা করে অর্থ দেবে পাঠকেরা। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের মাসিক হারে চাঁদার চেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হবে। তবে এই সুবিধা চালু হলে সংবাদমাধ্যম ও পাঠক উভয় পক্ষই সুবিধা পাবে বলে মনে করেন মাস্ক।