প্রেমিক বা প্রেমিকা কোনো কারণে সঙ্গীর ব্যাপারে সন্দেহপ্রবণ হয়ে পড়াটা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয় । তবে সন্দেহের বশে আর্জেন্টিনার এক নারী যেটা করেছেন, সেটা রীতিমতো অদ্ভুত। প্রেমিককে ঘরের মধ্যে তিন দিন বন্দী করে রাখার অপরাধে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার আর্জেন্টিনার লা প্লাটা শহরে প্রেমিকার বাড়ি থেকে ২৯ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই তরুণের দাবি, ছয় মাস ধরে ওই নারীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। আর তাঁর প্রেমিকা বেশ সন্দেহবাতিকগ্রস্ত। দুজনের কথা–কাটাকাটির পর তাঁর হোয়াটস অ্যাপ ফোন থেকে আন ইনস্টল করেন এবং মোবাইল ফোনটা মেঝেতে আছাড়ে ভাঙেন, যেন অন্য কোনো মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে না পারেন।
প্রেমিক আরও বলেন, তাঁকে ছেড়ে অন্য কোনো নারীর কাছে চলে যেতে পারেন এমন সন্দেহে তাঁর প্রেমিকা আরও বেপরোয়া ওঠেন। শুধু তাই নয়, তারপর তাঁকে কোনোভাবে একটি কামরায় আটকে ফেলেন। সেখানে তিন দিন তাঁকে আটকে রাখা হয়। তারপর কোনোভাবে প্রেমিকার ফোনটি চুরি করে এক বন্ধুর কাছে সাহায্যের জন্য খুদেবার্তা পাঠান।
অবশ্য আর্জেন্টাইন এই প্রেমিক ও প্রেমিকা দুজনের নামই গোপন রাখা হয়েছে।
‘নির্দিষ্ট সময়ে যদি না ফিরে আসি, তবে যেখানে গিয়েছি সেখানে হাজির হওয়ার হুমকি দিত সে।’ পুলিশকে জানান লোকটি। তিনি আরও জানান, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ঈর্ষাপরায়ণতা আরও বাড়তে থাকে তাঁর প্রেমিকার।
তরুণটি জানান, তাঁর প্রেমিকা বলেছেন, তিনি তাঁকে বন্দী করে রেখেছে, যেন প্রতারণা করতে না পারেন। তবে কীভাবে বন্ধুকে খুদেবার্তা পাঠানোর জন্য মোবাইলটা হাতে পান তা পরিষ্কার করেননি। এটা করতে সফল না হলে তাঁকে আর কত দিন আটকে থাকত কে জানে!
ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাঁকে খুব বেশি বিধিনিষেধের বেড়াজালে আটকে ফেললে দুজনের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে।
এদিকে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
একই ধরনের একটি ঘটনায় গত মার্চে টেনিসির ডাইয়ারসবার্গের ব্রেন্টন বেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই মাস ধরে নিজের ৪০ বছরের প্রেমিকাকে একটি খালি বাড়ির এক আলমারির মধ্যে আটকে রেখেছিলেন তিনি। আলমারি থেকে কেবল এক ঘণ্টার জন্য বের করা হতো। শেষ পর্যন্ত বাড়িটি ছেড়ে সুযোগ বুঝে পালাতে সক্ষম হোন তিনি। ওই নারী জানান, তাঁকে খেতে দেওয়া হতো কালেভদ্রে। বাথরুমে যাওয়ারও সুযোগ দেওয়া হতো না।
সূত্র: ডেইলি মেইল, অডিটি সেন্ট্রাল