আবার ফিরে আসতে হলো রাজনৈতিক রসিকতায়। আবার বলতে হচ্ছে, রুশ দেশের মানুষেরা রাজনীতি আর পারিবারিক রসিকতা যেগুলো করে, সেগুলো সহ্য করার মতো মানসিকতা আমাদের দেশের মানুষদের আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বিশেষ করে, পারিবারিক জোকসগুলোকে এ যুগের নারীবাদীরা যে চোখে দেখে থাকে, রুশ দেশের কোনো নারী বা পুরুষ সে চোখে দেখে না। নিছক মজা পাওয়ার জন্য তারা কিছুটা জায়গা রাখে, যেখানে নিশ্চিন্তে নিশ্বাস ফেলা যায়।
সে যা হোক। পারিবারিক রসিকতা নিয়ে অন্য একদিন কথা বলা যাবে। আজ আমরা চেষ্টা করব রসিকতাগুলো প্রেসিডেন্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে।
১.
প্রেসিডেন্টের মতে, দেশে দক্ষ শ্রমিকের অভাব আছে।
শ্রমিকদের মতে, দেশে দক্ষ প্রেসিডেন্টের অভাব আছে।
২.
জার আর প্রেসিডেন্টের মধ্যে পার্থক্য কী?
জার জানত, যদি সে দেশে লুটপাট চালায়, তাহলে তার ছেলেমেয়েদের জন্য কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
প্রেসিডেন্ট জানে, যদি সে দেশে লুটপাট না চালায়, তাহলে তার ছেলেমেয়েদের জন্য কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
৩.
রবিনহুড বড়লোকদের ধনসম্পত্তি লুট করে গরিবদের দিয়ে দিত। তাই সে প্রেসিডেন্ট হতে পারেনি। যদি গরিবের টাকা মেরে বড়লোকদের দেওয়ার ব্যবস্থা করত, তাহলে ঠিকই প্রেসিডেন্ট হতে পারত।
৪.
‘মিখাইল সামুয়েলোলিচ, গতকাল প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমাদের সবকিছু ভালোভাবে চলছে।
‘ঠিক বলেছ, শুরা। একদিক থেকে ভাবলে সেটা ঠিক। আরেকদিক থেকে ভাবলে ঠিক নয়।’
‘আরেকদিক থেকে মানে?’
‘ওইদিকে তো প্রেসিডেন্ট, আরেকদিকে জনগণ।’
৫.
এক স্কুলে রচনা লিখতে দিল—‘যদি আমি একদিনের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হতাম’।
গাধা নাকি! কী করে এ ধরনের প্রশ্ন মাথায় আসে এদের? রাশিয়ায় কি কেউ একদিনের জন্য প্রেসিডেন্ট হয়? দেখাতে পারবে কেউ সে রকম প্রেসিডেন্ট?
৬.
দুটো শিশু খেলছে।
‘আয় আমরা প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট খেলি।’
‘সেটা আবার কেমন খেলা?’
‘আমি তোর সব খেলনা কেড়ে নেব, আর তুই মাথা ঝাঁকিয়ে বলবি, ধন্যবাদ, ধন্যবাদ!’
৭.
এক বন্ধু অন্য বন্ধুকে বলছে, ‘চুরির দায়ে দক্ষিণ কোরিয়া আর ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টকে জেল খাটতে হচ্ছে...’
‘কী বলতে চাস তুই? ওই দুই প্রেসিডেন্ট চুরির ‘চ’ও জানে না বলে ধরা পড়েছে। বেশি চুরি করলে কি আর ধরা পড়ত? কেউ পড়ে?’
৮.
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোর গলায় বক্তৃতা করছেন—‘এবার আমরা নতুন সংকট উতরে যাওয়ার সব প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খুবই ভালো অবস্থায় আছে। আমরা কোনো চাপে ভেঙে পড়ব না।’
মিলনায়তন থেকে একটি চিকন কণ্ঠস্বর শোনা গেল, ‘আপনারা ভেঙে পড়বেন না বুঝলাম, আমাদের কী হবে?’
৯.
‘আমাদের প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে আপনার মত কী?’
‘ওকে তো আমি নেশাগ্রস্ত অবস্থা ছাড়া দেখিনি।’
‘কী বলছেন আপনি? তিনি তো মদ্যপান করেন না!’
‘তার কথা কে বলল? আমি তো আমার কথা বলছি!’
১০.
ফরাসি প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘মধ্যপন্থার মানে কী?’
‘খুব সহজ জিনিস। কল্পনা করুন, বাইডেন, পুতিন আর আমি এক বিছানায় ঘুমানোর জন্য শুলাম। আমাদের দেওয়া হলো একটা মাত্র কম্বল। আমি শুলাম মাঝখানে। গভীর রাতে দেখলাম, পুতিন একদিক থেকে কম্বল ধরে টানছেন, বাইডেন আরেকদিক থেকে। আমি চুপচাপ মাঝখানে শুয়ে রইলাম। তার মানে হলো আমি মধ্যপন্থী।’
১১.
এখন যখন আমাদের দেশে গণতন্ত্রের রমরমা, তখন প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করার জন্য বুদ্ধি, কৌশল কিছুই লাগে না, শুধু প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে অনুমতি নিলেই হয়...
১২.
এক ছদ্মবেশী মাতাল বলল, ‘বছরের পর বছর একই মুখ দেখতে দেখতে বউকেই পছন্দ হয় না, আর প্রেসিডেন্ট! হুহ!’
আরও পড়ুন