বিশ্বব্যাপী ব্যয়বহুল খাবারের জায়গাগুলো সাধারণ খাবারের জন্য অত্যধিক দাম রাখার জন্য সমালোচিত। নামের পাশে যত তারকা যুক্ত হতে থাকে খাবারের দামও ততগুণ বাড়তে থাকে।
সম্প্রতি তুরস্কের জনপ্রিয় শেফ নুসরাত গোকচের রেস্তোরাঁর একটি বিলের রসিদ ঘিরে বেশ আলোচনা সমালোচনার তৈরি হয়। মাংসের স্টেকে অদ্ভুতভাবে লবণ ছিটানোর জন্য পরিচিত নুসরাত ২০১৭ সালে ইন্টারনেট মিমের মাধ্যমে সাড়া ফেলে দেন। ইন্টারনেটে তিনি ‘সল্ট বে’ নামে পরিচিত। পরবর্তীতে তিনি নুসর–আত নামের একটি স্টেক হাউস চেইন প্রতিষ্ঠা করেন।
গত কয়েক বছরে ভোক্তারা বেশ কয়েকবারই নুসর–আতের খাবারের অতিরিক্ত দাম নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। সমালোচকেরা রেস্তোরাঁটিতে খাবারের মানের চেয়ে এর উপস্থাপনের ওপরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হলে বলেও নিন্দা করেছেন।
সম্প্রতি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) রেস্তোরাঁর একটি ভিডিও শেয়ার করেন এক ভোক্তা। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত তাঁর অদ্ভুত স্টাইলে স্টেকের ওপর লবণ ছিটিয়ে দিচ্ছেন। ভিডিওর নিচে রেস্তোরাঁর অতিরিক্ত বিলের অভিযোগটিও জুড়ে দেন ওই ব্যবহারকারী।
রেস্তোরাঁটিতে একটি স্প্রাইটের দাম রাখা হয় ১০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ১০০ টাকা। বাজার দরের চেয়ে এ দাম দশগুণেরও বেশি। গোল্ডেন টোমাহক নামের গোল্ডেন ফয়েলে মোড়া মাংসের স্টেকের দাম পড়ছে ১ লাখ ১০ হাজার ২০৬ টাকা।
অনেকে নুসরাতের স্টেক তৈরির কৌশল নিয়েও সমালোচনা করছেন। এক ব্যবহারকারী বলেন, নুসরাত ইস্পাতের ছুরিটি টেবিলে ঘষে ধার দেন এবং তা জীবাণুমুক্ত করা ছাড়াই মাংস কাটেন।
আরেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘টিকটক ট্রেন্ড পুরোনো হয়ে যাওয়ার পর থেকে তাঁর রেস্তোরাঁয় লোক সমাগম কমে যাওয়ার কারণ আছে। খাবারে গোল্ডেন ফয়েল আকর্ষণীয় দেখালেও, স্পষ্টতই এই বাবুর্চি ভণ্ড ও অতটা গুণী নন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য কিছু করেন না এবং অকারণে খাবারের দাম বাড়িয় রাখেন।’
গত বছর এক এক্স ব্যবহারকারী লন্ডনে অবস্থিত সল্ট বের এক রেস্তোরাঁর বিলের ছবি শেয়ার করেন। ছবিতে বিলের পরিমাণ দেখা যায় প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৭৬ টাকা। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘লন্ডনে সল্ট বের রেস্তোরাঁয় যাওয়ার চেয়ে তুরস্কে গিয়ে তাঁর রেস্তোরাঁয় খাওয়া বেশি সাশ্রয়ী। একটা কোকের জন্য ৯ পাউন্ড (১ হাজার ২৩৫ টাকা)। একটা টোমাহক স্টেকের দাম ৬৩০ পাউন্ড (৮৬ হাজার ৪৮৯ টাকা)। ধন্যবাদ, দরকার নেই।’
এ পোস্টের জবাবে শেফ সল্ট বে বিলের একই রসিদ আবার পোস্ট করেছেন।
২০১৭ সালে ভাইরাল হওয়া একটি মিমের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন নুসরাত গোকচে ওরফে সল্ট বে। অদ্ভুতভাবে স্টেকের ওপর লবণ ছিটানোর এ স্টাইল রাতারাতি তাঁকে জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এ খ্যাতিকে তিনি রেস্তোরাঁ ব্যবসায় কাজে লাগান এবং বিশ্বের প্রধান শহরগুলোতে রেস্তোরাঁর শাখা খোলেন।