ইশতিয়াক হাসান
উড়োজাহাজ থেকে দেখলে কিংবা গুগল আর্থ অথবা ড্রোন দিয়ে ছবি তুললে মনে হবে বিশাল কোনো আঙুলের ছাপ। মিলটা এতটাই যে দ্বীপটিকে এখন ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইল্যান্ড নামেই বেশি চেনে মানুষ। প্রকৃতপক্ষে দ্বীপটির নাম বাভিয়ানেজ, অবস্থান ইউরোপের দেশ ক্রোয়েশিয়ায়।
দ্বীপটি আয়তনে একেবারেই ছোট, মোটে ০.১৪ বর্গকিলোমিটার। পাখির চোখে একে এমন দেখানোর কারণ দ্বীপময় ছড়িয়ে থাকা পাথরের দেয়ালের নেটওয়ার্ক। তবে দ্বীপটি আকারে ছোট হলে কি হবে, বিস্তৃত এই দেয়ালগুলোর দৈর্ঘ্য যোগ করলে যোগফল কত হবে জানেন, ২৩ কিলোমিটার।
ছোট্ট এই দ্বীপটিতে কোনো জনবসতি নেই। কখনো মানুষের বসতি ছিল এমনটিও জানা যায়নি। তবে আদ্রিয়াতিক সাগরের এ দ্বীপটিকে পাশের দ্বীপ কাপরিজের কৃষকেরা ফল ও সবজি চাষের এলাকা হিসেবে ব্যবহার করতেন। অনুমান করা হয়, কোমর পর্যন্ত উঁচু পাথরের দেয়ালগুলো আঠারো শতকের। একটি পাথরের সঙ্গে আরেকটি জোড়া দিতে সিমেন্ট বা এ ধরনের কোনো উপাদান ব্যবহার করা হয়নি। একটার সঙ্গে আরেকটা পাথর আটকে দেওয়ার এই প্রক্রিয়া পরিচিত, ‘ড্রাই স্টোন ওয়ালিং’ নামে।
সিবেনিক দ্বীপপুঞ্জের ২৪৯টি দ্বীপের একটি এই বাভিয়ানেজ। মূলত আঙুরখেত ও ডুমুরগাছের জন্য বিখ্যাত ছিল জায়গাটি। তবে এখন আর দ্বীপে কোনো ফল বা সবজির গাছ নেই। সেখানে গেলে কেবল কিছু আঙুরলতা বা গুল্মের ঝাড় দেখতে পাবেন। তবে ২০১৮ সাল থেকে ইউনেসকোর ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটিজ’ এলাকা হিসেবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে একে।
সূত্র: ডেইলি মেইল, ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং ডট কম, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, অডিটি সেন্ট্রাল