ল-র-ব-য-হ ডেস্ক
ছোট্ট পতঙ্গ পিঁপড়া। অঙ্গে এতটুকু হলেও তার রঙ্গের কিন্তু শেষ নেই। কীটপতঙ্গ জগতে সবচেয়ে বড় মস্তিষ্ক যার দখলে সে কী আর অসাধারণ কিছু না হয়ে পারে? ৬ পা বিশিষ্ট প্রাণীটির কান নেই; পথ চলে হাঁটু এবং পায়ের বিশেষ সেনসিং ভাইব্রেশনে পরিস্থিতি বুঝে। ফুসফুস নেই; শ্বাসকার্য চালায় দেহের অসংখ্য ক্ষুদ্র ছিদ্রের মাধ্যমে। প্রত্যেকের আছে দুটি করে পাকস্থলী। নারী পিঁপড়ার আবার পাখাও গজায়। রঙেও আছে লাল, কালো ও সবুজের বাহার।
কায়িক শ্রমেও কিন্তু বেশ এগিয়ে ফর্মিসিডি গোত্রের এই সামাজিক কীট। দিনে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্রাম নেয় মাত্র ৮ মিনিট, বাকি সময় কাজ। কখনোই ঘুমায় না। বইতে পারে নিজের দেহের ওজনের চেয়েও ১০ থেকে ১০০ গুণ ভার। পেশি শক্তিশালী হওয়ায় এটি সম্ভব হচ্ছে। এর দেহের গঠন এমন যে বিমান থেকে ফেলে দিলেও তেমন ব্যথা পায় না। সাঁতারেও আছে বিশেষ দক্ষতা, পানির নিচে ডুবে থাকতে পারে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। তবে পরিশ্রম যতই হোক, খাদ্য মজুতে কিন্তু সে দারুণ ওস্তাদ।
একতাবদ্ধ হয়ে চলার ক্ষেত্রে পিঁপড়ের জুরি নেই। চলার পথে সামনের সদস্য থেকে নিঃসৃত রাসায়নিক উপাদানের ঘ্রাণেই পেছনের সদস্য পথ চলে। জীবনের পথচলাটাও কম দীর্ঘ নয়; গড় বয়স ২৮ বছর। রানি পিঁপড়া বাঁচে ৩০ বছর পর্যন্ত। চলার পথে লড়াই সংগ্রামেও কিন্তু এরা অকুতোভয় যোদ্ধা। লড়ে যায় আমৃত্যু। মারা গেলেও শরীর থেকে নিঃসৃত হয় বিশেষ এক এনজাইম, এর ঘ্রাণে বাকিরা পেয়ে যায় পিঁপড়ার মৃত্যু সংবাদ।
সংখ্যা, পরিমাণেও কিন্তু মানুষের চেয়েও এগিয়ে পিঁপড়া। গবেষণা বলছে, মানুষের চেয়ে পিঁপড়ের সংখ্যা ১০ লাখ গুণ। আর ওজনে মানুষ ও পিঁপড়া সমানে সমান।
তথ্যসূত্র: ওয়েস্টার্নএক্সটারমিনেটর.কম