Ajker Patrika
হোম > ল–র–ব–য–হ

সৈকতটির মাটি খুঁড়েই নিজের জন্য বানিয়ে নিতে পারবেন একটি হটটাব

অনলাইন ডেস্ক

সৈকতটির মাটি খুঁড়েই নিজের জন্য বানিয়ে নিতে পারবেন একটি হটটাব

হটটাবে উষ্ণ পানির মধ্যে গোসল করতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু এমন কোনো জায়গার খোঁজ যদি পেয়ে যান, যেখানে প্রাকৃতিকভাবেই হটটাবের দেখা পেয়ে যাবেন, কেবল একটু কষ্ট করে বালু খুঁড়ে বানিয়ে নিলেই হবে, তাহলে? সত্যি এমন প্রাকৃতিক হটটাবও আছে। এর দেখা পেতে অবশ্য আপনাকে যেতে হবে নিউজিল্যান্ডে।

করোমানডেল উপদ্বীপের উপকূলে হুইটিয়ানগা থেকে মোটামুটি ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের সাগরসৈকতে এই হটটাবের দেখা পাবেন। জোয়ারের সময় অবশ্য একে অন্য দশটা সাধারণ কিন্তু সুন্দর সৈকতের মতোই মনে হবে আপনার। ফুলে-ফেঁপে ওঠা সাগর, তীরে আছড়ে পড়া শক্তিশালী ও বিক্ষুব্ধ ঢেউ, পাথুরে পাহাড়, দূরে দেখা যাওয়া দ্বীপের আভাস—এসব আর কি! তবে জোয়ারের শেষ সময়টা থেকে শুরু করে ভাটার একটা বড় সময় পর্যন্ত বদলে যায় পরিস্থিতি। আবহাওয়া খারাপ না থাকলে দিনে তো বটেই, এমনকি চন্দ্রালোকিত রাতেও দেখবেন বিশ মিটারের মতো একটা জায়গায় প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছেন।

এই যে জায়গাটির কথা বললাম, এর বালুর নিচে, অর্থাৎ পাতালে রয়েছে দুটি উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম জলের পুকুর। বালুতে সামান্য একটু খুঁড়েই উষ্ণ জলের একটি ছোট গর্ত বা প্রাকৃতিক হটটাব বানিয়ে নেওয়া সম্ভব। ভাটার সময় বিষয়টি উপভোগের সুযোগ মিলবে আপনার। কারণ ওই সময়ে পানির উচ্চতা কম থাকায় নিচে যে উষ্ণ প্রস্রবণ আছে, সৈকতের ওই অংশ উন্মুক্ত অবস্থায় থাকে। সাধারণত ভাটার দুই ঘণ্টা আগে থেকে দুই ঘণ্টা পর পর্যন্ত এই প্রাকৃতিক হটটাব তৈরি করার সময় হিসেবে সবচেয়ে আদর্শ।

করোমানডেল উপদ্বীপের উপকূলে হুইটিয়ানগা থেকে মোটামুটি ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এই সাগরসৈকতের অবস্থানপর্যটন মৌসুমে শত শত পর্যটককে দেখা যায় কোদাল ও বালতি হাতে নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের সৈকতে হাজির হয়ে যেতে। তারপর নরম বালু খুঁড়ে গর্ত তৈরি করে শুয়ে পড়লেই হলো। ধীরে ধীরে উষ্ণ, আরাদায়ক জল ঢেকে দেয় তাঁদের শরীর। ভুলে কেউ বালু খোঁড়ার এসব উপকরণ না নিয়ে এলেও সমস্যা নেই। কারণ আশপাশে এমন একাধিক দোকান খুঁজে পেয়ে যাবেন, যেখানে এসব ভাড়া দেওয়া হয়।

দেখুন কেমন ধোঁয়া উঠছে গরম পানির ছোট্ট পুকুরটি থেকেপানি কতটা উষ্ণ হবে তা নির্ভর করছে কত গভীর করে গর্ত খুঁড়ছেন তার ওপর। গর্ত যত গভীর হবে, পানির তাপমাত্রা হবে তত বেশি। সাধারণত সর্বোচ্চ ৬৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে এখানকার তাপমাত্রা। পর্যটকদের প্রায়ই দেখা যায় নিজেদের খোঁড়া গর্তের থেকে সাগর পর্যন্ত একটি নালা কাটতে। এতে সাগরের তুলনামূলক শীতল পানি এসে এই উত্তপ্ত পানির সঙ্গে মিশে তাপমাত্রার একটা ভারসাম্য তৈরি করে।

সাগরের ঢেউয়ে একসময় মানুষের তৈরি করা এই ছোট ছোট উষ্ণ পানির পুকুর বা প্রাকৃতিক হাটটাবগুলো ধুয়ে-মুছে যায়। এতে পরের দফায় আসা পর্যটকেরা আবার নিজেদের মতো করে নিজেদের হটটাব তৈরি করে নিতে পারেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটক—দুই ধরনের মানুষের কাছেই সৈকতটি প্রিয় একটি জায়গা। তবে এমনকি ভাটার সময়ও পাতাল উষ্ণ প্রস্রবণগুলো যেখানে আছে, সেই জায়গাটি সাগর থেকে খুব দূরে থাকে না। কাজেই স্রোত, গর্ত আর বড় ঢেউয়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হয় সবাইকে।

সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, দ্য করোমানডেল ডট কম, এটলাস অবসকিউরা

হোম অফিস গোছানোর দিন আজ

বিখ্যাত ব্র্যান্ডের এক পায়ের জিনস, দাম মাত্র ৫৩ হাজার টাকা!

৮৭ হাজার ৮৪০ ডলারে বিক্রি হলো চারিজার্ড পোকেমন আকৃতির চিটো

ডিমের বাজার চড়া, লেয়ার মুরগি ভাড়া নিচ্ছেন মার্কিনরা

বিটিএস তারকা জিনকে চুম্বন, তদন্তের মুখে জাপানি নারী

৯৬ লাখ ডলারের স্বর্ণের কমোড চুরি হয়ে গেল ৫ মিনিটে

এটিএম কার্ড চুরি করে কেনা লটারির টিকিটে জিতলেন ৫ লাখ ইউরো, ভাগ চান মালিক

গিনেস বুকে নাম লেখাল রক্তকণিকার সমান এক ভাস্কর্য

৪০০টি ভাষায় লিখতে পড়তে পারেন ১৯ বছরের আকরাম

তিমির মুখে কিছুক্ষণ, বেঁচে ফিরে অভিজ্ঞতা জানালেন তরুণ