অনলাইন ডেস্ক
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বন্দী কুমির ক্যাসিয়াস মারা গেছে। যে অভয়ারণ্যে সে বাস করত, তারা গতকাল শনিবার কুমিরটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ধারণা করা হয়, ১৮ ফুট দৈর্ঘ্যের ক্যাসিয়াসের বয়স হয়েছিল ১১০ বছরের বেশি।
ফেসবুকে মেরিনল্যান্ড মেলানেসিয়া ক্রোকোডাইল হেবিটেট জানিয়েছে, এক টন বা ১ হাজার কেজির বেশি ওজনের ক্যাসিয়াসের শারীরিক অবস্থান অবনতি ঘটতে থাকে গত ১৫ অক্টোবর থেকে।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের পর্যটন শহর কেয়ার্নসের কাছে অবস্থিত গ্রিন আইল্যান্ডভিত্তিক সংস্থাটি পোস্টে জানায়, ‘তার অনেক বয়স হয়েছিল। ধারণা করা হয়, বন্য অবস্থায় একটি কুমিরের জীবনকালের চেয়ে বেশি বেঁচে ছিল সে। ক্যাসিয়াসের অভাব গভীরভাবে উপলব্ধি করব আমরা। তার প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং কুমিরটির নানা স্মৃতি অমলিন থাকবে আমাদের হৃদয়ে।’
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
অভয়ারণ্যটির ওয়েবসাইট সূত্র জানা যায়, ১৯৮৭ সালে একে এখানে আনা হয় নর্দার্ন টেরিটরি থেকে।
সল্ট ওয়াটার ক্রোকোডাইল বা লোনা পানির কুমির ২৩ ফুট (৭ মিটার) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। বন্দী কুমিরদের মধ্যে আগের রেকর্ডধারী ছিল ফিলিপাইনের একটি ইকো পার্ক ও ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভেশন সেন্টারে থাকা ৫০ বছর বয়স্ক ললোং। ওটার দৈর্ঘ্য ছিল ২০ ফুট (৬.১৭ মিটার)। ২০১২ সালে ধরা পড়ার পর ক্যাসিয়াসের থেকে রেকর্ডটি নিজের করে নেয় সে। কিন্তু কুমিরটি এক বছর পরেই অসুস্থ হয়ে মারা যায়, সেই সঙ্গে ক্যাসিয়াস আবার বিশ্বের বৃহত্তম বন্দী কুমিরের মর্যাদা পায়।