‘দম্পতি হিসেবে সামনে এগোনে আর সম্ভব বলে আর বিশ্বাস করতে পারছি না’– এইটুকু বলেই বিচ্ছেদ! বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ ধনী বিল গেটস আর মেলিন্ডার বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য এতোটুকু কারণ দর্শানোই যথেষ্ট মনে করছেন না বাংলাদেশের ডিভোর্স বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস, এর পেছনে কারণ আছে আরও। বিশ্বের শীর্ষ সফটওয়্যার কোম্পানির মালিক হওয়ায় গণমাধ্যমের চুপ থাকা নিয়েও তাঁরা মহা ক্ষ্যাপা। যে সাংবাদিকরা লিখেছেন তাঁদের ‘চাকরি থাকবে না’ বলে যে সমবেদনা নেই তাও নয়। তবে ‘ভাসুরের’ নাম যে জানা গেল, তাই বা কম কী! মহা ক্ষমতাধর ফেসবুকে পোস্ট, কমেন্টের সমারোহে এ বিচ্ছেদের চাঞ্চল্যকর সব কারণ বিশ্ববাসীর সামনে হাজির করছেন এ বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী এর মধ্যে অত্যন্ত যৌক্তিক কিছু কারণ এখানে তুলে ধরা হলো–
- কাবিননামায় চুক্তি ছিল— বিল ও মেলিন্ডা মাসে ১৫ দিন করে মশারি টাঙাবেন। কিন্তু, কিছু মাস ৩১ দিনের হওয়ায় ঘটেছে বিপত্তি। মাসের অতিরিক্ত একদিন কে মশারি টাঙাবে এ নিয়ে শুরু থেকেই চলছিল কলহ। এভাবে ২৭ বছর পার। আর কাঁহাতক সহ্য করা যায়। শেষ পর্যন্ত একটা যুতসই সুরাহা হলো।
- বিল গেটস উইন্ডোজ বানালেও মেলিন্ডাকে রাখার মতো হাউজ বানাতে পারেনি।
- উইন্ডোজ বানালেও সময় নিয়ে নিয়মিত আপডেট না করায় ক্র্যাশ করেছে।
- আর, সারাদিন কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাকলে সংসার টিকবে কী করে! বিল আরেকটু সংসারী হলেই কিন্তু বুড়ো বয়সে এই কেলেঙ্কারিটা ঘটতো না।
- মেলিন্ডা গোপনে ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম চালাতেন। সেটি বিল একদিন দেখে ফেলেন।
- বিসিএস ক্যাডার হলে আজ বিল গেটসকে এমন দিন দেখতে হতো না।
- মেলিন্ডা ‘মহিলা মানুষ’। সন্তান লালন পালন, ঘর সামলানো বাদ দিয়ে বাইরে বেগানা পুরুষদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করেতন। আর স্বামীর সমানে সমান কাজ করার স্পর্ধা দেখানোও তার ঠিক হয়নি। এজন্যই মেয়েদের বেশি পড়াশোনা করাতে নেই।
- একটা ফাউন্ডেশন; তাতেও বউয়ের নাম কেন রাখতে হবে? বিল গেটস আসলে মেলিন্ডাকে বেশি লাই দিয়ে ফেলেছেন।
- সফটওয়্যারের সাথে তাঁর কিছু কিছু হার্ডওয়্যারও (শাসন) বানানো উচিত ছিল।
- টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায় না। মেয়েরাও অতো লোভী না। শুধু টাকা দিয়ে তাঁদের বেঁধে রাখা যায় না।
- বাঙ্গি কেনা নিয়ে দ্বন্দ্ব।
- গত বছর মাইক্রোসফটে চাকরি যাওয়ার পর থেকেই বিল গেটস যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন।
- বিলের অক্ষমতা (১ নম্বর ধনীর স্থান ফিরে পেতে ব্যর্থ)।
- আরেক তরুণীতে মজেছিলেন বিল গেটস।
- লকডাউনের দোহাই দিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে মেলিন্ডাকে শপিং মলে যেতে দেননি।
- এ বিচ্ছেদে ‘বিম্পি জামাতের হাত’ আছে।
- বাংলাদেশে চলমান নৈরাজ্য থেকে নজর ঘুরাতে সরকার পরিকল্পিতভাবে এ কাজটি করেছে।
- স্বপ্নযোগে মামুন মারুফ তালাকের আসল কারণ জানলেও কাজী ইব্রাহীমের এক কথা, ‘জানি কিন্তু বলবো না’। নব-বিচ্ছিন্ন দম্পতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় এ বিষয়ে ‘নো কমেন্ট’ তারেক মানোয়ারের।
- ঈদের পরে ৭১ টেলিভিশন নিশ্চয়ই এ বিষয়ক কল রেকর্ড ফাঁস করবে।
- ফেসবুকে গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা মিডিয়ার এথিকস নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। মিডিয়াগুলো কোন আক্কেলে মেলিন্ডার সঙ্গে গ্রুপ ছবিতে সম্মানিত বিল গেটসের ছবিটি ঝাপসা না করেই প্রকাশ করলো!
এদিকে গভীর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এ ডিভোর্স বিশেষজ্ঞদের কেউই ডিভোর্সি নয়। এরপরেও তাঁরা কীভাবে এমন খ্যাতি অর্জন করলেন তা নিয়ে মাওয়া-জাজিরার গভীরতর অনুসন্ধান চলছে। যে প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁরা ডিগ্রি নিয়েছেন সেটির অস্তিত্ব আছে কিনা তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এসব অঘামার্কা প্রশ্ন যাঁরা তুলেছেন তাঁদের হারিকেন দিয়ে খুঁজছে বিলবাহিনী।