সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে কিশোরী মালেকা। নিজের এলাকায় তরুণদের নিয়ে কাজ করছে সে। পাশাপাশি একটি বিদ্যালয়েও পড়াচ্ছে। সতেরো বছর বয়সী এই কিশোরী আজ বুধবার একদিনের জন্য মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) হিসেবে প্রতীকী দায়িত্ব পালন করেছে।
এ দিন সকালে জিপির প্রধান কার্যালয়ে মালেকাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইয়াসির আজমান।
কিশোরী মালেকা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কী কী কাজ করেন, সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। কখনো আশা করিনি এত বড় কোনো পদে আমি আসতে পারব। তবে এখানে এসে নিজেকে অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতে এর চেয়েও বড় কোনো পদে যাওয়ার সক্ষমতা আমি রাখি।’
নিজের এলাকায় ৫০ জন তরুণের একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছে মালেকা। তাদের নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক কাজের পাশাপাশি তরুণদের দিক নির্দেশনাও দিয়ে থাকে সে।
মালেকা বলেন, ‘একজন নেত্রী হিসেবে আমি সবাইকেই বলি, আজ অবস্থান যেখানেই থাকুক, কালকের অবস্থানটা আরও উন্নত হতে পারে।’
বেসরকারি সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ইয়ুথ অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করছে মালেকা। সংস্থাটির ‘গার্লস টেক ওভার’ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে জিপির সিইও পদে একদিনের প্রতীকী দায়িত্ব পায় সে। এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য বাংলাদেশে মেয়েদের অধিকার ও সুযোগের ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা।
গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা যে শুধু একদিনের বিষয় তা নয়। টেকসই সমাজ গড়ার জন্য ইকুইটি এবং ইকুয়ালিটি প্রয়োজন, সেটার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি জানান, তিন বছর আগে জিপিতে ১১ শতাংশ নারী কর্মী ছিলেন। বর্তমানে তা বেড়ে ২০ শতাংশ হয়েছে।
জিপির ১০ থেকে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা রয়েছেন জানিয়ে ইয়াসির আজমান বলেন, ‘যেভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, সেটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হচ্ছে। এটা একটা যাত্রা। আমাদের সচেতন হবে। এ কারণেই এই আয়োজন।’