কর্মজীবী মায়েদের সুবিধার্থে রোডম্যাপ ফর চাইল্ড কেয়ার ইন বাংলাদেশ প্রণয়ন করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই রোডম্যাপ তৈরিতে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে আইএলও। উন্নত শিশুযত্ন ব্যবস্থা, নারীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং দীর্ঘ মেয়াদে তাঁদের কর্মক্ষেত্রে থাকা নিশ্চিত করবে এটি। পাশাপাশি চাইল্ড কেয়ার গিভার হিসেবে নারী ও পুরুষের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ঢাকার একটি তারকা হোটেলে এ রোডম্যাপের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মমতাজ আহমেদ, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান এবং আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পৌটিআইনেন।
গবেষণার বরাত দিয়ে আরএপিআইডি বা র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আবু ইউসুফ জানান, বর্তমানে দেশে সরকার পরিচালিত ৬৩টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র এবং ১০০টির বেশি বেসরকারি কেন্দ্র রয়েছে। শিশুদের দেখাশোনার লোকসংকটের কারণে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেন না ৫৪ শতাংশ নারী। রোডম্যাপটিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে কেন্দ্রগুলো ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানো, কেন্দ্রের কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ, সনদ দেওয়া এবং কেন্দ্রগুলো কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তাতে সরকারের নজরদারি নিশ্চিত করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান র্যাপিডের তত্ত্বাবধানে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, শ্রমিক ও মালিক সংগঠন, চাইল্ড কেয়ার ওয়ার্কার এবং অভিভাবকদের সঙ্গে পরামর্শের মাধ্যমে এ রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে।